দৌলতখান পৌরসভা নির্বাচনে আলোচনায় মামুনুর রশীদ বাবুল চৌধুরী

ভোলা জেলার দৌলতখান পৌরসভা নির্বাচনে সর্বমহলে আলোচনার তুঙ্গে মামুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরী। মামুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরী দৌলতখান উপজেলার এক পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের নাম। কর্মী থেকে নেতা হওয়া এই ব্যক্তিটি সদালাপী ও মিষ্টি ভাষী হিসেবেই পরিচিত সর্বমহলে। দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারের সন্তান তিনি।
বাবুল চৌধুরীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম চৌধুরী চরখলিফা ইউনিয়নে দীর্ঘ ৩৫ বছর সুনামের সহিত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই বাবুল চৌধুরী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তারপর আস্তে আস্তে তিনি চলে আসেন জনগনের সেবার দাড়প্রান্তের কাতারে।
আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখনো বাবুল চৌধুরীর রাজনৈতিক কর্মকা-ের গতি থেমে থাকেনি কোন অংশে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে বাবুল চৌধুরীর পথ চলা শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৮-২০০৪ সাল পর্যন্ত। সুনামের সহিত পৌর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৫-২০১৪ সাল পর্যন্ত দৌলতখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০০৯-২০১৪ পর্যন্ত দৌলতখান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
দৌলতখান-বোরহানউদ্দিনের জনপ্রিয় সাংসদ আলী আজম মুকুল এমপির আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিতি এই জনপ্রতিনিধি। বাবুল চৌধুরীর পুরো পরিবারই আওয়ামী রাজনীতির সাথে সংযুক্ত।
আসন্ন দৌলতখান পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আবারো আলোচনায় এসেছে তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতৃত্বদানকারি মামুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরী। দল থেকে মনোনয়ন পেতে জোড়ালো লবিং করছেন তিনি। দৌলতখান পৌরসভার বাসিন্দাদের মধ্যে বাবুল চৌধুরী সদালাপী ও শান্ত স্বভাবের ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ও বটে।
মামুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরী বলেন, আমার নেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয় ও আলী আজম মুকুল মহোদয়ের সমর্থন নিয়ে যদি আমি দল থেকে মনোনয়ন পাই তাহলে আমি দৌলতখান পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহন করে জনগনের সেবা করবো। তাদের নির্দেশ মান্য করেই আমার সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং সব সময় হবে ইনশাল্লাহ।
বাবুল চৌধরী বলেন, দল থেকে কি পেলাম আর পেলাম না সেটা মূখ্য বিষয় না; মান অভিমান থাকতে পারে, তবে দলের বাহিরে কখনো যাইনি আর মৃত্যুর আগ পর্যান্ত কখনো যেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন না নেয়। যতদিন বেচে থাকি মানুষের সেবার মধ্য দিয়েই বেচে থাকতে পারি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।