ইলিশাঘাটে কর্ণফুলী ১৪ ধাক্কায় গ্রীণ লাইনের তলায় ফাটল।। দূর্ঘটনার আশঙ্কা
ফাইল ছবি।
ইলিশা টু ঢাকায় দিবা সার্ভিস এমভি গ্রীণ লাইন ২:৩০ ও কর্ণফুলী -১৪ লঞ্চ ৩:৩০ মিনিটে প্রতিদিনই ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশ্য।
প্রতিদিনের মত সোমবার দুপুরে গ্রীণ লাইন ঢাকা থেকে এসে ইলিশা তালতলি ঘাটে লঙ্গর করার কিছুক্ষণ পরই কর্ণফুলী -১৪ এসে পাশের থেকে ধাক্কা দিয়ে গ্রীণ লাইনের সামনের অংশের তলা ফাটল হয়ে যায়।
কর্ণফুলী-১৪ লঞ্চের ধাক্কায় গ্রীণ লাইনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং অনেক যাত্রী নেমে যেতে দেখা গেছে।
এই ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ এর ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান পরির্দশন করেছেন।
তবে সচেতন মহল জানান, লঞ্চের স্বেচ্ছাচারিতায় যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে অতিদ্রুতই আলাদা টার্মিনাল অথবা বিকল্প কোন ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নিবে? গ্রীণ লাইন সার্ভিস ভোলার মানুষের জন্য একটি নব সূচনা হিসেবেই শুরু হয়েছে কিন্তু এমন স্বেচ্ছায় এক জাহাজ আরেক জাহাজ কে এই ভাবে ধাক্কায় যাত্রীদের যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, আমার সাথে অসুস্থ্য রোগী ছিলো কিন্তু হঠাৎ কর্ণফুলী লঞ্চের ধাক্কায় আমাদের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ভোলার মানুষ আজও ভুলেনি লালমোহনের লঞ্চঘাটের সেই নাসরিন ট্রাজেডির কথা।
কর্তৃপক্ষ যদি এখনই কোন সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয় যে কোন মুহুর্ত্বে নাসরিন ট্রাজেডির মত ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করেছেন সচেতন মহল।
এই বিষয়ে গ্রীন লাইনের তত্ত্বাবধায়ক তরিকুল ইসলাম রনি বলেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে কর্ণফুলী -১৪ আমাদের জাহাজে ধাক্কা দিয়েছে, আমরা কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছি।
তবে কর্ণফুলী -১৪ সুপারভাইজার আলাউদ্দিন বলেন, বাতাসের কারনে এই ঘটনা ঘটছে তবে কিছুটা ফেটে গেছে।
ভোলা বিআইডব্লিউটিএ এর ব্যবস্থাপক
কামরুজ্জামান বলেন, আমি পরিদর্শন করেছি বাতাসের কারনেই ধাক্কা লেগেছে পরে সেটা মোটামুটি ঠিক করে জাহাজ ছেড়ে গেছে।