চরফ্যাশনে ফার্মেসীতে ভোক্তা অধিকার ও র‌্যাবের অভিযান ॥ বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ভোলা চরফ্যাশনে ঔষধের বিভিন্ন ফার্মেসীতে আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযান চালায়। এসময় বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। বাজারে অভিযান চলছে এমন সংবাদে অনেক ফার্মেসীর মালিক জেল জরিমানার ভয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে সটকে পড়েন।
চরফ্যাশনের বাজারের ঔষধের দোকান ড্রাগ লাইসেন্স, মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ বিক্রি, চরফ্যাশনে ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতি সিন্ডিকেট করে ক্রেতাদের নিকট ঔষধ বিক্রি, অখ্যাত কোম্পানীর ভেজাল ঔষধ ক্রেতাদের কিনতে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের সংবাদ ভোলার বাণী সহ বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ায় পর শনিবার ভোক্তা অধিকার ও এলিট ফোর্স র‌্যাব-৮ বেলা সাড়ে ১১টায় চরফ্যাশনে ফার্মেসীগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের খবর পেয়ে ঔষধের দোকান বন্ধ করে চলে যায়।
ভোলা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মাহমুদুল হাসান ও র‌্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ চরফ্যাশন বাজারে ঔষধের দোকানসমুহে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রতারনার অবিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রিন্স মেডিকেল হলকে ৪ হাজার, রুমা ড্রাগ ৫ হাজার, মামনি মেডিকেল হল ৩ হাজার, জানকি মেডিকেল হল ৫ হাজার, সালমা মেডিকেল হল ৩ হাজার ও ভোক্তা অধিকার না মানায় মিজান ফরাজী এন্ড সন্সকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
ভোক্তা অধিকার ও র‌্যাব ৮ চরফ্যাশন বাজারে অভিযান চলাকালে শহরের জনতা রোড, মেইন রোড, গ্রীন রোড, সোনালী রোড, চাউল পট্টি, থানা রোড ও হাসপাতাল রোডের ঔষধের দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
একশ্রেনীর অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ী চরফ্যাশন পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্সে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ঔষধের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। অধিকাংশ ফার্মেসিতে অখ্যাত আয়ুর্বেদিক ও ভেজাল ঔষধ বিক্রি হচ্ছে। গতকাল গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশের র‌্যাব-৮ এর এই অভিযান পরিচালনা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাধারন মানুষকে জিম্মি করে স্থানীয় চরফ্যাশন ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতির জনবিরোধী কথিত সিদ্ধান্তের কারনে অসহায় সাধারন মানুষ। সমিতির সিদ্ধান্ত বলবৎ রয়েছে কোন সদস্য নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে ঔষধের দাম কম নিলে তাকে গুনতে হবে পাঁচ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল আমিন বলেন, সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। আমার জানা মতে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। কোন ঔষধ ব্যবসায়ী অনিয়ম কররে ছাড় নেই। সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রি করবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এরচেয়ে বেশি মুল্যে বিক্রি করলে অপরাধ। ক্রেতা-বিক্রেতার সমন্বয়ে মুল্যছাড় দেয়া ব্যবসায়ীর ব্যাপার। ড্রাগ সমিতির মাধ্যমে ফার্মেসীকে বাধ্যবাধকতার নির্দেশনা দিলে এটা হবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে সম্পূর্ন বেআইনী।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।