সরকারী চাকুরি করেও কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন নূরুজ্জামান

ভোলার লালমোহনে সরকারী চাকরী করেও নিজের বাড়িতে বিভিন্ন ফল, সবজি, ধান, মাছ ও গবাধী পশু পালন করে সফলতার নজির স্থাপন করলেন মোঃ নুরুজ্জামান। প্রায় ৮ একর জমিতে চাষাবাদ করে চাকরীর পাশাপাশি তিনি এখন একজন সফল চাষী। চাষাবাদ থেকেই পরিবারের সব চাহিদা পূরণ হয়। চাহিদা পূরণ করে উৎপাদিত পণ্য ও পশু বাজারে বিক্রি করে বছরে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। তার বাড়িতে গেলেই চোখে পড়ে সারি সারি মাল্টা গাছ, পেঁপে গাছ, কলা গাছ। সবগুলোতে ফল ধরে আছে। তার এমন উদ্যোগে উৎসাহিত হচ্ছেন স্থানীয় আরো অনেকে।

মোঃ নুরুজ্জামান লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী। তার বাড়ি উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকায়। নিজের বাড়িতে তিনি এমন কোন ফল গাছ ও সবজি নেই যা চাষ করেননি। ফুল কপি, পেঁপে, করলা, মিষ্টি কুমড়া, শাকসবজি থেকে শুরু করে মাল্টা, আখ, আম, কলা, লিচু, আমড়া, পেয়ারাসহ অর্ধশত ফল ও সবজির বাগান তার বাড়ি ও খামারে। করছেন ধান চাষ, মাছ, হাঁস-মুরগী ও গবাধী পশু পালন। বছরের প্রতিটি মৌসুমে তিনি সময় উপযোগী সবজি চাষ করেন। ৮টি পুকুরে একই সাথে সমন্বিত উপায়ে মাছ ও সবজি চাষ করেন। এসব চাষাবাদ নিজের পরিশ্রম আর উদ্যোগ নিয়ে করছেন বলে জানান নুরুজ্জামান। তিনি সবসময় কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে এসব চাষাবাদ করছেন। চাকরীর পাশাপাশি অবসর সময়ে কৃষি কাজের প্রতি এমন উদ্যোগী হওয়ায় এলাকায় প্রশংসিত নুরুজ্জামান।
নুরুজ্জামান জানান, তার স্ত্রী নারগিস বেগম তাকে সবসময় সহযোগিতা করে আসছে। স্ত্রী একজন গ্রাজুয়েট হওয়া সত্ত্বেও নিজেই খামার দেখা শোনা করেন। হাঁস-মুরগী, গবাধী পশু লালন পালন করেন। তাদের ৩ ছেলে। বড় ছেলে মেডিকেলে পড়ে। মেঝ ছেলে পলিটেকনিক্যালে পড়ে। আর ছোট ছেলে মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ে।
তিনি জানান, ২০০৩ সাল থেকে গজারিয়ার দক্ষিণ পাশে নতুন বাড়ি করার পর থেকে তার কৃষির প্রতি আগ্রহ জন্মে। প্রথমে বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ শুরু করেন। এতে পরিবারের চাহিদা পূরণ হয়েও বাড়তি সবজি বিক্রি করে বেশ উপার্জন হতো। পরে ক্রমান্বয়ে ৮ একর জমিতে শুরু করেন খামার। প্রতি বছর তার সব মিলিয়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ হলেও ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় হয় বলে জানান নুরুনজ্জামান।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।