সর্বশেষঃ

চরফ্যাশনে ৬০ বছরের ভোগ দখলীয় জমি চাষে বাধা দিচ্ছেন ইউপি সদস্য

ভোলার চরফ্যাশনে প্রায় ৬০ বছরের ভোগ দখলীয় জমি চাষে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডের (মেম্বার) সদস্য নুন্ন মাতাব্বরের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা পূর্ব ওমরাবাজ মোহাম্মদীয়া আলীম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবুল বশার গং অভিযোগ করে বলেন, ভোলার জেলার দক্ষিণাঞ্চল চরফ্যাশন উপজেলার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়ন সংলগ্ন জাহানপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে আমাদের ১৯ ওয়ারিশের ৪ একর ৮৮ শতাংশ জমি রয়েছে।
ওই জমি দাবি করে ফখরুল, এনামুল ও মোর্শেদা গং ২০১৫ সালে ভোলার চরফ্যাশন যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করে। বাদিগণ অন্য লোকদ্বারা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৯ সালে মামলার একতরফা রায় পায়। আমরা তাৎক্ষণিক ২০১৯ সালে ভোলা জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে আপিল করলে পরবর্তী চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এনামুল ও মোর্শেদার নিঃশর্ত আপস মিমাংসা সোলেনামায় প্রমাণীত হলে আপিল আদালত বাদিপক্ষের জাল জালিয়াতি বিবেচনায় চলতি বছরের জুন মাসে ওই রায় স্থগিত করে আমাদের পক্ষে রায় দেন। আপিলে হেরে গিয়ে ও রায় প্রাপ্তদের জমি চাষাবাদে বাধা দেওয়া আদালতের রায়ের অবমাননার সামিল বলে মন্তব্য করেন আইনজীবীরা।
মাওলানা আবুল বশার গং সাংবাদিকদের আরও বলেন, বর্তমানে আমরা আমাদের ওই জমি ভোগ দখলে থাকলেও স্থানীয় হাজারীগঞ্জের বাসিন্দা নান্নু মাতাব্বর ও তার ছেলে এ জমি চাষাবাদে বাধা দিচ্ছে। ৭ সেপ্টম্বর (মঙ্গলবার) সকালে আমাদের মজুর শ্রমিকরা জমি চাষ দিতে গেলে নান্নু মাতাব্বর ও তার ছেলে লোকমান মজুর চাষাকে জমি চাষ বন্ধ করে জমি থেকে উঠে যেতে বলে এবং ওই জমিতে যারা চাষ দিবে এবং জমিতে নামবে তাদের বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জমির ওয়ারিশগণ শশিভূষণ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। জমির ১৯ জনের কয়েকজন ওমান প্রবাসীর আত্মীয় বলে জানা গেছে। তারা জমি চাষাবাদে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।