সর্বশেষঃ

মনপুরায় কিশোরীকে গণধর্ষণ ॥ পুলিশি অভিযানে আটক-৩, পলাতক-২

ভোলার মনপুরায় খালু বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৬ বছরের এক কিশোরী। এই ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তবে শুক্রবার সকাল থেকে ধর্ষিতা কিশোরীকে দিয়ে গ্রেফতারকৃতদের শনাক্তকরণ সহ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৩ জনকে আটক ও এক হোন্ডা ড্রাইভারের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয় বলে জানিয়েছেন ওসি তদন্ত আবদুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে সোমবার রাত ১০ টায় উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের আন্দিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা ধর্ষিতা কিশোরীকে খালু কাইয়ুম ব্যাপারীর বাড়ি থেকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে মুখে বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে ৫ জন মিলে দলবেঁধে গণধর্ষণ করে। এদিকে এই ঘটনায় শুক্রবার ধর্ষিতা কিশোরী ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। তবে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করতে পারলেও অপর দুই আসামী পলাতক রয়েছে। আটককৃত আসামীরা হলেন, শাকিব, করিম, জোবায়ের। পলাতক আসামীর হলেন, শামীম ও রুবেল। এদের সবার বাড়ি উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
ধর্ষিতা কিশোরীর খালু কাইয়ুম ব্যাপারী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ঈদুল আযহায় ঢাকা থেকে মনপুরায় খালু কাইয়ুম ব্যাপারির বাড়িতে বেড়াতে আসেন ধর্ষিতা কিশোরী। পরে গত ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ১০ টায় কিশোরী খালুর বাড়ি থেকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বরে হয়। ওই সময় আগ থেকে উৎপেতে থাকা শাকিব, শামিম, জোবায়ের, করিম ও রুবেল কিশোরীর মুখে টিসু দিয়ে মুখ চেপে হোন্ডাযোগে তুলে নিয়ে যায় মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ৪ তলা ভবনের দোতলায়। সেখানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে কিশোরীকে। পরে ফের হোন্ডাযোগে হাত, পা ও মুখ বেঁধে নিয়ে যায় মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পাশাপাশি কূলাগাজী তালুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে। সেখানে নিয়ে ফের ধর্ষণ সহ পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। ভোর হওয়ার সাথে আটককৃত তিন আসামী ও পলাতক দুই আসামী ওই কিশোরীকে হাত, পা বাঁধা অবস্থায় রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে।
তবে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রথমে স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্ঠা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার পুলিশ জানতে পারলে ধর্ষিত কিশোরীকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এসে ধর্ষনের সাথে জড়িত আসামীদের ধরতে রাতভর অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। পরে শনাক্তকরণ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৩ জনকে আটক ও রহিম নামে একজন জড়িত না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় জড়িত ও মামলার আসামী দুইজন পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, সোমবার কিশোরীকে তুলে নিয়ে দরবেঁধে ধর্ষন করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার পুলিশ খবরপেয়ে অভিযানে গিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সকালে কিশোরী বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে মনপুরা থানায় মামলা করে। এর মধ্যে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজনকে কিশোরী শানাক্ত করায় মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। মামলার পলাতক অপর দুই আসামী ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।