সর্বশেষঃ

আতা ফলের ঔষধি গুনাগুন

মোঃ মহিউদ্দিন
প্রভাষক, ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ।

 

আমাদের দেশে অতিসাধারণ
অতি জনপ্রিয় ফল আতা ,
স্বাদের দিক দিয়ে কিছুটা নোনতা
তাই এ ফলের নাম দেয়া হয়েছে আতা।
আতা ফল খেলে,
এতে থাকা ফসফরাসে
হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আতাফলে আছে
ভিটামিন সি ও রিবোফ্লাবিন,
যাদের চোখের সমস্যা আছে
তারা সিজনাল আতা ফল খাবেন।
আতা ফলে প্রচুর পরিমাণে
ক্যালসিয়াম বিদ্যমান,
শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়াম আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ।
যদি শরীরের রক্ত ঠান্ডা ও নিস্তেজ হয়,
সকাল বিকাল তিন চামচ পরিমানে
আতা ফল খেয়ে রক্ত গরম হয়।
চুল, চোখ ও ত্বকের যতেœ,
ভিটামিন-সি ভিটামিন-এ আতা ফলে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।
দুই চামচ আতাফল দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে, দুর্বলতা দূর হয় দেহের পুষ্টি মিলে।
রক্ত বমি হলে আতা ফলের রস
দুই চামচ করে খাওয়ালে,
রক্ত বমি যাবে চলে।
দেহে যদি দাহ হয় নেই আর ভয়,
দুই চামচ পরিমাণ আতা ফল
সকাল-বিকাল খেলে
দাহ ভাব ভালো হয়।
আতা ফলের থাকা ম্যাগনেসিয়াম
মাংসপেশীর জড়তা দূর করে,
হৃদ রোগ প্রতিরোধ করে।
আতা ফলের থাকা উচ্চমাত্রার
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দুরারোগ্য ব্যাধি তাড়িয়ে
দেহকে সুস্থ সবল রাখে,
আতা ফলের খাদ্য উপাদান এনিমিয়া
রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
তাই তাইতো কবির ভাষায় বলেন
আতা গাছে তোঁতা পাখি ডালিম গাছে মৌ,
এত ডাকি তবু কথা কও না কেন বউ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page