চরফ্যাশনে জাল সনদে প্রধান শিক্ষক, বিভাগীয় মামলা
ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিন চর মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম হোসেন সেন্টু শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দিয়ে
চাকরি করার অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারুক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করেন।
দক্ষিণ মঙ্গল গ্রামের মোঃ শাহেদ আলী অভিযোগ করেন- মোহাম্মদ গোলাম হোসেন ১৯৮৬ সালে তৃতীয় বিভাগে চরফ্যাশন টিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে পাস করেন। পরে উত্তর চাচড়া মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসার ১৯৯১ সালের আলিম পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেট সৃষ্টি করে ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ সালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করেন । তিনি খোঁজখবর নিয়ে যানেন ওই মাদ্রাসায় ১৯৯১ সালে মো: গোলাম হোসেন নামে কোন ছাত্র আলিম পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে নাই।
অভিযোগকারী গোলাম হোসেন এর গেজেট বাতিল সহ এযাবৎ উত্তোলিত টাকা আদায়ের ব্যবস্থা ও জাল জালিয়াতির সু বিচার চেয়ে গত ২৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার উক্ত অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে গত ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে ২২৯৪/৩ স্বারকে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করেন। পুনরায় ১৯ আগষ্ট ১৯ তারিখে ১৬৪৪ স্বারকে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা, বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারুক সরকারি কর্মচারী ( শৃংখলা ও আপীল) বিধি মালা ২০১৮ এর ৪ (৩) ধারা মোতাবেক গোলাম হোসেন সেন্টু বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করেন। বিভাগীয় উপ-পরিচালক ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে ১১৩৩ স্বারকে অভিযোগ গঠন ও ১ম কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।
চরফ্যাশন উপজেলা শিক্ষা অফিসার তিশিত কুমার চৌধুরী এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে উক্ত মামলা শুনানি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।