সর্বশেষঃ

ভোলার রাজাপুরে ফকির বাহিনী ও দেওয়ান গ্রুপের সংঘর্ষ ॥ ইউপি সদস্য সহ আহত-৪

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুরের ৯ নং ওয়ার্ডে সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর ১৪৪/৪৫ ধারার আদেশ অমান্য করে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্স হয়। সংঘর্সের সুত্র ধরে মুরগীর খামার ও কবুতরের খামারে হামলার ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালের এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে রাজাপুরের ৯নং ওয়ার্ড শ্যামপুর ক্লোজার বাজার সংলগ্ন নিজাম দেওয়ানের মাছের প্রজেক্টে অনধিকারে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা ক্রমে আবুল কালাম শিকদার বলেন, আদালতের ১৪৪/৪৫ নিষেদাজ্ঞা অমান্য করে হেলাল মেম্বারের নেতৃত্বে নালিশি জমির মাছের প্রজেক্টে হেলাল মেম্বার, হানিফ শিয়ালি, আবু তাহের, শামিম শিয়ালি, নিজাম দেওয়ান গংরা মাছ ধরতে গেলে নাসির ফকির, খোকন মৃধা, কালাম শিকদার, হারুন ফকির, শফিক খাঁ, কবির মঞ্জু সহ ১৫/২০ জনে মিলে বাঁধা প্রদান করেন। এসময় হেলাল মেম্বার গংরা কামাল সিকদার গংদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। উভয়ের হামলার প্রেক্ষিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিজাম, মিন্টু ও তাহের হারুন ফকিরকে ধাওয়া করে মারধর করলে সে বেধরক আহত হলে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কালাম শিকদার।


অপর পক্ষে আবু তাহের দেওয়ান বলেন, তার দাদা মরহুম মজিদ আলী দেওয়ান দীর্ঘ ৪০ বছর পুর্বে প্রফুল্ল নাথ ঠাকুরের এর নিকট হইতে ৬ একর জমি সাফ কবলা মূলে খরিদ সুত্রে মালিক থাকিয়া রেকর্ড করাইয়া উল্লেখিত সম্পত্তি ভোগ দখল করিতেছিলেন। তার উত্তরাধীকারি হিসেবে আমরা ভোগ দখলে আছি। বর্তমানে পুর্ব ইলিশার নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এই জমার অংশে ১.২৯ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে ভোলা নির্বাহী কোর্টে এমপি-১৫৮ নং মামলায় ১৪৪/৪৫ ধারায় একটি নিষেদাজ্ঞা আনয়ন করেন। উক্ত নালিশি ভুমির উপর পুর্ব থেকেই আমাদের মুরগী ও কবুতরের খমার স্থাপিত ছিল এবং বর্তমানেও আছে। নোটিশ প্রাপ্তির পরে আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নালিশি ভুমিতে সর্বপ্রকার কার্যক্রম বন্দ রেখেছি। বাকি ৪ একর ৭১ শতাংশ জমির কোন নিষেদাজ্ঞা নেই।
বাদী নুরুল ইসলাম এর পক্ষে নাসির ফকির, কালাম শিকদার, খোকন মৃধা, হারুন ফকির, শফিক খাঁ, কবির মঞ্জুসহ একটি গ্রুপ জোড়পুর্বক আমাদের প্রজেক্টে ধরতে থাকলে আমরা স্থানীয় মেম্বার সহ জানতে গেলে আমাদের উপর মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করে অতর্কিত হামলা চালায় ও আমাদের ঘর বাড়ি, কোপায়, আমাদের মুরগী খামার ও মাছের ঘেরের ঘর দিবালোকে কুপিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন। এক পর্যায়ে তারা মেম্বারের উপর হামলা করে।


এ বিষয়ে ওয়ার্ড মেম্বার হেলাল উদ্দিনকে ফোন দিলে তার ছেলে হাসিব রহমান রিসিভ করে বলেন বাবা অনাকাঙ্খিত ভাবে আজ সকালে ফকির বাহিনী কর্তৃক হামলার স্বীকার হয়েছেন। হারুন ফকিরের নেতৃত্বে নাসির ও কবির মঞ্জু দু’ভাই মিলে আমার বাবার চোখে মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করেন। নাসির বাবাকে জাপটে ধরে রাখলে কবির আমার বাবাকে রামদা দিয়ে কোপ দিলে বাবা গুরুতর আহত হয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, নাসির ফকিরের রাজত্ব দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। গত কয়েকদিন আগে ভোলার স্থানীয় জনপ্রিয় পত্রিকায় তার অপকর্মের সচিত্রের একাংশ তুলে ধরার পর তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
এ বিষয়ে ভোলা থানায় নাজিম, নাসির ও কবির মঞ্জুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। হামলার বিষয়ে সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, আমরা মেম্বারের উপর হামলার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্দসাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।