নানান সমস্যায় জর্জরিত বিচ্ছিন্ন রামদাসপুরের কয়েক হাজার মানুষ
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান, ফুঁসছে মানুষ ॥ ঘটনার কিছুই জানেনা মামলার সাক্ষী ॥ মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কি ওসি প্রদীপের পথে ?
ভোলায় ঘটনাস্থলে মাদক না পেয়েও মাদক দিয়ে চালান দিলো কৃষ্ণ পোদ্দারকে
(আহত সুমি বেগম)

ভোলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে মাদক না পেয়ে ও শ্রী ক্ষ্ণৃ পোদ্দার নামে এক যুবককে মাদক দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে বিরুদ্ধে। গত ২৮ আগস্ট ২০২০ ইং তারিখ সন্ধায় ভোলা শহরের ওয়েষ্টার্ণ পাড়া জামিরারতা এলাকার হাওলাদার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এসময় জসিম ও শ্রী কৃষ্ণ পোদ্দার এর পরিবারের সাথে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায় হাতা হাতিতে জরিয়ে পরেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয়ণ অধিদপ্তরের লোকজন। এতে জসিমের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী সুমি বেগম গুরত্বর আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, ভোলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লোকজন গত ২৮ আগষ্ট ২০২০ ইং তারিখে ভোলার ওয়েষ্টার্ণ পাড়া জামিরালতা এলাকার হাওলাদার বাড়িতে মাদক রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন অভিযান চালায়। এসময় তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জসিম ও কৃষ্ণ পোদ্দারকে নিজ বাড়ির পুকুর ঘাটলা থেকে বসা অবস্থায় দেখে ধরে আনেন। তখন তাদের দেখে ভয়ে জসিম ও শ্রী কৃঞ্চ পোদ্দার পালানোর চেস্টা করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন তাদেরকে ধরে টেনে হেচরে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
জসিম এবং শ্রী কৃঞ্চ পোদ্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয় রাস্তায় এসে জড়ো হন। এসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন জসিম ও শ্রী কৃঞ্চ পোদ্দারকে গাড়িতে উঠানোর চেস্টা করে। এসময় জসিম এর স্ত্রী সুমি বেগম তার স্বামীকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে তাদের সাথে ধস্তা ধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে সুমি বেগম গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা কিসের ভিত্তিত্বে জসিম ও শ্রী কৃঞ্চ পোদ্দারকে আটক করা হয়েছে তা জানতে চান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে লোকজনদের কাছ থেকে। এসময় তারা বলেন, জসিম ও শ্রী কৃঞ্চ পোদ্দার এর কাছ থেকে মাদক পাওয়া গেছে তাই তাদেরকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়রা প্রমান দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেননি তারা।
এসময় তখন স্থানীয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে লোকজনদের সাথে তর্ক বিতর্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পুলিশকে খবর দেন এরই ফাঁকে জসিম হাত কড়া নিয়ে পলায়ন করেন। পরবর্তিতে রাতে পুলিশ আবার অভিযান করিয়া জসিমকে উদ্ধার করতে না পারলেও হাত কড়া উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মকর্তার কাছে পৌছে দেন।
ভোলা শহরে এমন খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে কাছে কিসের ভিত্তিত্বে জসিম ও কৃষ্ণ পোদ্দারকে আটক করা হয়েছে তা দেখতে চাইলে তাও সাংবাদিকদের দেখাতে পারেননি তারা। এসময় জিটিভি ও যুগান্তর প্রতিনিধি হেলাল উদ্দিন গোলদার, আনন্দ টিভি প্রতিনিধি ও দৈনিক ভোলার বাণীর স্টাফ রিপোর্টার এম রহমান রুবেল, দৈনিক ভোরের ডাক ও ভোলার বাণীর রিপোর্টার মেজবা উদ্দিন টুটুল, জনতার বাণী ডট কমের নির্বাহি সম্পাদক এম জামিল হোসেন, বাংলা টিভির প্রতিনিধি জুয়েল সাহা উপস্থিত ছিলেন।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ঐদিন ঘটনাস্থল থেকে কৃষ্ণ পোদ্দার নামে একজনকে আটক করে নিয়ে আসেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে। এদিকে প্রশ্ন হচ্ছে মাদক সহকারে কাউকে আটক করতে পারেনি তারা। কিন্তু কিভাবে জসিম ও কৃষণ পোদ্দারকে ১২ পিচ ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়া হয় এমন প্রশ্ন এখন জন মনে। ঘটনাস্থলে কোন ইয়াবা না পাওয়া গেলেও ১২ পিচ ইয়াবা কোথায় থেকে আসলো এটা স্থানীয়দের প্রশ্ন ?
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মামলায় যাদেরকে সাক্ষী করা হয়েছে তাদের মধ্য থেকে শফিজল ও মাইন উদ্দিনের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমাদেরকে যে মাদক মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে এ বিষয় আমরা কিছুই জানি না। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন অভিযান চালিয়েছে ঠিকই, কিন্তু কোন মাদক উদ্ধারও করতে পারেনি এবং তা দেখাতেও পারেনি।
স্থানীয় একাধিক লোকের সাথে কথা হলে তারা জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন অভিযান পরিচালনা করেছে কিন্তু মাদক উদ্ধার এবং দেখাতে পারেনি।
৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুক জানান, আমার এলাকায় ভোলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন অভিযান পরিচালনা করেছে, কিন্তু আমি কিছুই জানি না। মাদক বিরোধী অভিযান প্রসংশনীয়, তবে এ অভিযানের কারণে যেন কোন নির্দোষ মানুষকে হয়রানি করা না হয়।
অন্যায় ভাবে ধরে নিয়ে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য দিয়ে চালান দেওয়া এটা অন্যায় এবং আইন পরিপন্থি বলে অভিমত প্রকাশ করেন ভোলা জেলা হিউম্যান রাইটস ডিপেন্ডার ফোরাম এর সাধারন সমাপাদক মোঃ হোসেন।
কৃষ্ণ পোদ্দার একজন ব্যবসায়ী এবং আঃলীগ স্থানীয় নেতা। দীর্ঘদিন সুনামের সহিত ব্যবসা করে আসছে। বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক আমি চাই সাংবাদিক ভাইয়েরা সঠিক বিষয়টি তুলে ধরবেন এবং সরকার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করবেন এটা আমার প্রত্যাশা করেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ভোলা জেলা হিন্দু বৈদ্য খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও ভোলা জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক অভিনাশ নন্দি।
মাদকবিহীন কিভাবে একজন আটক করা হলো এব্যাপরে ভোলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর এলতাজুর রহমান জানান, ঐদিন পরিস্থিতি ঘোলাটে ছিল এবং আমাদের সাথে পুলিশ প্রশাসন না থাকায় আমরা আপনাদের মাদক দেখাতে পারেনি। তবে ঐদিন ঘটনাস্থলে ধস্তা ধস্তিতে আমার একজন সহকর্মী আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, ভোলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এসএম সুলতান উদ্দিন বাদি হয়ে ভোলা সদর থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- ৫৭/৫২৬। ওসি এনায়েত আরো জানান, মামলার জব্দকৃত আলামত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছেই জমা থাকে। এ বিষয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে সম্ভব হয় নাই।

(এলাকাবাসীর বিক্ষোভ)
উল্লেখ্য গত ১২ মে প্রতিদিন সংবাদ ডট কম অনলাইনে “ভোলায় ফুসে উঠছে ছাত্রমহল, কলেজ ছাত্রকে এনে ইয়াবা দিয়ে চালান” শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়, যা নিন্মে হুবহু তুলে ধরা হলো- ভোলায় হাতাহাতির অভিযোগে ধরে এনে হাবিব নামের এক কলেজ ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়া হয়েছে বলে ভোলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত ৬ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রহিমা ভিটা নামক এলাকায় এঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার নারী পুরুষ দুই শতাধীক জনগন আন্দোলন করে। তারা স্লোগানে স্লোগানে ভোলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের বিচার চেয়েছে। তাছাড়া তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচারক এবং সেবা সুরক্ষার সচিব ও প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় তদন্ত চেয়ে ভোলার সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় মোঃ মাকসুদ আলম সিকদারের ঢাকা কমার্স কলেজে অনার্স পড়ুয়া মেধাবী ছেলে হাবিব করোনা প্রাদুর্ভারের পূর্বে ভোলায় বেড়াতে এসে যাত্রী পারাপার বন্ধে আর ঢাকায় যেতে পারেনাই। করোনা প্রাদুর্ভারের প্রথম দিকে এলাকায় নিজেদের উদ্যোগে রাস্তায় লকডাউন করে। এই বিষয় নিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজনের সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় মামলা মোকদ্দমায় পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মোঃ হাবিবের বাবাকে বাদি বানানো হয়েছিলে। ঘটনার দিন ও সময় হাবিব তাদের বাড়ির সম্মুখে পুকুর পাড়ে বসে সময় কাটাচ্ছিলো। এমন সময় একই এলাকার পার্শ্ববর্তীয় বাড়ির মোঃ নুরে আলম নামের এক ব্যাক্তি কয়েকজন লুঙ্গিপড়া লোকের সাথে ধস্তাধস্তি করে ডাক চিৎকার দিচ্ছে। হাবিবের ধারনা ছিলো রাস্তা লকডাউন করায় পার্শ্ববর্তীদের সাথে যে দ্বন্দ্ব চলছিলো তারাই নুরে আলমকে আক্রমন করেছে। তাই নুরে আলমের ডাক চিৎকারে হাবিব ছুটে এসে নুরে আলমকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। এতে আক্রমনকারীদের সাথে তার হাতাহাতি হয়। পরে আক্রমনকারীরা হাতকড়া দেখিয়ে নিজেদেরকে ভোলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোক হিসাবে পরিচয় দিলে হাবিব স্থির হয়ে যায়। যদিও তারা লুঙ্গিপড়ে ছদ্মবেশে ছিলেন। এসময় তারা হাবিবকে হাতকড়া পরায়। ততক্ষণে কাছাকাছি থাকা প্রায় অর্ধশতাধীক স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যায়। জড়ো হওয়া স্থানীয়রা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোক পরিচয় দানকারীদেরকে হাবিব গ্রেফতারের কারন জানতে চাইলে তারা হাবিবের হাতাহাতির বিষয়টা অপরাধ হিসাবে গন্য করে আটক করা হচ্ছে বলে জানায়। হাবিব না বুঝে, না চিনে ভূল করেছে এমনটা বললে তারা হাবিবকে অফিসে এনে স্যারের সাথে কথা বলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ সবুজ, মোঃ মাকসুদ আলম নামের দুজনকে ঘটনার সাক্ষী বানিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচয়দানকারী লোকজন ছোট একটুকরো কাগজে নিজেদের মোবাইল নাম্বার লিখে দিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলে হাবিবকে লুঙ্গিপড়া অবস্থায় বোরাকে চরে মারতে মারতে নিয়ে আসেন।
হাবিবের বাবা মোঃ মাকসুদুর রহমান ও স্থানীয় চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মুনসুর জানায়, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে দিয়ে আসা ঐ নাম্বারে হাবিবের আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান যোগাযোগ করলে ঐ নাম্বারের লোকজন ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে তারা হাবিবকে মাদক মামলা দিবে জানায়। তাদের এমন হুমকিতে হাবিবের বাবাসহ স্বজনরা বেকাদায় পড়লে চেয়ারম্যানের ফোনের মাধ্যমে মধ্যস্থতায় হাবিবের বাবা ও স্বজন জামাল সিকদার এবং সবুজ ভোলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিসে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা দেন দরবারের পর তাদেরকে দাবিকৃত ৪০ হাজার টাকা দেয়। টাকা বুঝিয়া পেয়ে তাদেরকে বাড়ি চলে যেতে বলে এবং হাবিবকে কিছুক্ষণের মধ্যে ছেড়ে দিবে বলে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লোকজন জানায়। হাবিবের স্বজনরা অফিসের বাহিরে গিয়ে হাবিবের অপেক্ষা করতে থাকলে একপর্যায় দেখে যে হাবিবকে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে হাতকড়া পরিয়ে ছেড়ে দিয়ে দৌড় দিতে বলে। এরপর তাকে আবার ধরে থানার দিকে নিয়ে যায়।
এসব ঘটনা দেখে ততক্ষণ অফিসে দাবিকৃত টাকা লেনদেনকারীরা বুঝতে পারে যে নতুন আরেকটা নাটকের সৃষ্টি করছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এরপর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচয় দেওয়া সেই ব্যক্তির সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলে সে প্রতিবারই ছেড়ে দেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেয়। রাত গড়ালে এক পর্যায় তারা মোবাইল বন্ধ করে দেয়। পরে স্বজনরা বুঝতে পারে যে হাবিবকে আর ছাড়বেনা। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হবে কিন্তু টাকা ফেরত দেওয়া হবেনা। এমন কথা বুঝে হাবিবের স্বজনরা তাৎক্ষনিক চেয়ারম্যানকে জানালে চেয়ারম্যান তাৎক্ষনিক ওসি, এসপি, সাংবাদিক, বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এলতাজ উদ্দিনকে জানালে বিষয়টি নিয়ে কোন সুরহা হয়নাই। পরে রাতেই বিষয়টা ঘোলাটে হলে ওসি সাহেবের মাধ্যমে জানতে পারে যে হাবিবকে মাদকসহ আটক দেখিয়ে মামলা করা হয়েছে।
পরের দিন সকালে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং টাকা লেনদেনকারীসহ ও টিভি চ্যানেল ও পত্র-পত্রিকার সাংবাদিকরা ভোলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিসের পরিদর্শক এলতাজ উদ্দিনের রুমে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে বসাবসী হলে অভিযুক্ত ভোলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান টিমের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা না বুঝে ধস্থাধস্তি ঘটনার সম্পর্ণ সত্যতা সকলেই স্বীকার করেন। তবে বিভিন্ন নাটকীয়তায় টাকা লেনদেনের কথাটা অস্বীকার করেন তারা।
যদিও মামলার আর্জিতে দেখা যায়, ঘটনার বিষয়ে অফিসে উপস্থিতদের সাথে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজনের ঘটনার দেওয়া বর্ণনার সাথে আর মামলার বর্ণনার সাথে কোন মিল নেই। তারা বলেছিলেন তারা লুঙ্গি পরে যাওয়ায় ভূলবুঝে বা না বুঝে ধস্তাদস্তির কথা। কিন্তু মামলা দিয়েছেন যে হাবিবের কাছে তার পরিহিত প্যান্টের পকেটে ১০পিচ ইয়াবা পেয়েছে। যদিও হাবিব লুঙ্গি পরিহিত ছিলো।
এদিকে হাবিবের বিরুদ্ধে মিথ্যা মাদক মামলা দেওয়া হয়েছে দাবি করে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রাসহ দুই শতাধীক লোকজন ভোলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজনের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন করেছে। তাদের দাবি হাবিব কলেজ পড়–য়া মেধাবি ছাত্র। সে ঢাকায়ই থাকে, করোনার প্রাদুর্ভাবে ভোলায় এসেছে। তাকে কখনো বাহিরে অহেতুক আড্ডা বা ধুমপান করতেও দেখা যায় নাই। তাকে মিথ্যা মাদক মামলা দিয়ে তার ভবিষ্যৎ অনিচ্ছয়তার মধ্যে ধাবিত করা হয়েছে। তারা এ ঘটনার তদন্তের মাধ্যমে বিচার চেয়ে মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সেবা সুরক্ষার সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করেছেন এবং বিচার চেয়ে বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করবেন।
এ বিষয়ে ভোলা সদর থানা ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, ভোলা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরেরর উপপরিচালক মোঃ শাহ আলম বাদি হয়ে হাবিবের বিরুদ্ধে ১০পিস ইয়াবায় ধৃত উল্লেখ্য করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করেছেন।