স্বামীর সম্পত্তি ফিরে পেতে মামলার প্রস্ততি নেওয়ায় অপহরণের দাবী মা রিতু বেগেমের

মনপুরায় প্রতিবেশি ও চাচা মিলে ভাতিজিকে অপহরণের অভিযোগ

ভোলার মনপুরায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের শিকার ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট আলাউদ্দিনের শিশু কণ্যাকে প্রতিবেশী শামীম, উজির আলী ও চাচা জামাল মিলে অপহরন করার অভিযোগ করেছেন মৃত আলাউদ্দিনের স্ত্রী রিতু বেগম। এর আগে ওই শিশুকে অপহরণ ঘটনা ঘটায় তখন থানায় জিডি করা হয়েছিল।

রবিবার বিকেলে ৪ টায় চরফৈজুদ্দিন গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে থেকে শিশু কন্যা আয়শা (৮) কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে ৩ ঘন্টা পর জ্ঞানহীন অবস্থায় শিশুটিকে বাড়ির সামনে রেখে যায় অভিযুক্তরা। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে মনপুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার সকালে শিশুটি জ্ঞান ফিরে এলে এই প্রতিবেদককে জানান, বাসার সামনে দড়ি লাফ খেল ছিলাম। তখন শামীম ভাইয়ের বউ উজির আলী কথা বলতেছিল। তখন আমারে ইশারা দেয় কথা শুনতে। পরে উজির আলী আমার মুখ হাত দিয়ে চাচা জামালের কাছে নিয়ে যায়। পরে হোন্ডা করে উজির আলীর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেষখানে চাচা কয় তোর মায়ে আমাগে নামে মামলা দিতাছে। তুই পুলিশের বলবি আমরা চাচারা সব। তখন তোর বাবার খুনিদের ফাঁসি হইবো ও তোদের সম্পত্তি ফিরে পাবি।

এদিকে অপহৃত শিশুটির মা রিতু বেগম জানান, স্বামীর সম্পত্তি ফিরে পেতে মামলার প্রস্তুতি নেওয়ায় আমাকে চাপে ফেলতে দেবর জামাল, প্রতিবেশী শামীম ও উজির আলী মিলে আমার শিশু কণ্যাকে অপহরণ করে আমার বিরুদ্ধে বলতে চাপ দিচ্ছে। ওরা আমার কণ্যাকে নিয়ে ভয় দেখায়। পরে শিশু মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে ওরা বাড়ির সামনে মেয়েকে রেখে যায়। এর আগেও আমার মেয়েকে নিয়ে যায়। তখন থানায় জিডি করা হয়।

এছাড়াও রিতু বেগম পুলিশ সহযোগিতা করছেনা বলে অভিযোগ করেন বলেন, পুলিশ এসে প্রথমে এই ঘটনাটি শালিশের মাধ্যমে সমাধান করতে বলে। পরে সকালে ওসি সাহেব এসে বলে আপনারা আর কত নাটক করবেন। তিনি বলেন আপনারে ধরুম ও ওগেরে ধরুম। আপনারে যারা সহযোগিতা করছে তারা আপনার ভাল চায়না।

এব্যাপারে অভিযুক্ত শামীম মুঠোফোনে জানান, তিনি এই ব্যাপারে কিছু জানেনা। তবে উজির আলীর স্ত্রী শিশুটিকে সন্ধ্যার সময় নিয়ে আসে বলে তার স্ত্রী তাকে জানান।

এই ব্যাপারে চাচা জামাল জানান, ঘটনাটি সাজানো। আমি কিছু জানিনা। তবে শুনেছি ভাতিজি নিজেই উজির আলীর বাড়িতে গেছে। পরে উজির আলীর বউ বাড়িতে দিয়ে গেছে।

এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ভাই বিষয়টি নিজেই তদন্ত করছি। এই বিষয়টি ঝামেলা আছে। পরে বলবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page