ভোলায় বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের কমিটি গঠন: সভাপতি- আমির, সম্পাদক- জাকির

ভোলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ভোলা আলতাজের রহমান ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী মোঃ আমির হোসেন কে সভাপতি, নাজিউর রহমান কলেজের অফিস সহকারী মোঃ জাকির হোসেন কে সাধারণ সম্পাদক ও চরফ্যাশন ওমরাবাজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ শাহজাদা কে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করে বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ ভোলা জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়।

বাংলাদেশের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী ভোলা জেলা শাখার আয়োজনে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনে আংশিক জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। খুব শিগগিরই ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি সম্পন্ন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ ভোলা জেলা কমিটির নতুন নেতৃবৃন্দ।

আলতাজের রহমান ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী ও বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ ভোলা জেলা শাখার আহবায়ক মোঃ আমির হোসেন এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাজিউর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ জিয়া উদ্দিন সরদার (জিয়া শাহিন), সাংগঠনিক আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান (আদনান হাবীব)।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন তালুকদার, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইছা তালুকদার, এস এ টিভির জেলা প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন শাহিন, বাংলাদেশ প্রতিদিন এর জেলা প্রতিনিধি জুন্নু রায়হান, এটিএন বাংলার ভোলা প্রতিনিধি ছিদ্দিকুল্যাহ।

সম্মেলনে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে তাদের বেতন স্কেল বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা সহ বেশ কিছু দাবি জানানো হয়।

এসময় বক্তারা বলেন একটি প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক / অধ্যক্ষের পর দ্বিতীয় প্রধান হিসেবে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরাই বৃহত্তর ভূমিকা পালন করে থাকে। একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের ডিউটির নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকলেও অফিস সহকারীদের কাজের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সময় সীমা থাকে না। দিন-রাত কাজ করেও কেন এতো বৈষম্যের শিকার হবো আমরা? তাই আমরা চাই সরকার যেনো আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে আমাদের কে বৈষম্য থেকে রক্ষা করে এবং আমাদের কাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগায়। আর তা না হলে আমরা সাংগঠনিক ভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় করতে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাজিউর রহমান কলেজের অফিস সহকারী মোঃ জাকির হোসেন, ইলিশা ইউ সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শারমিন আক্তারসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী বৃন্দ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন লালমোহন নাজিরপুর দারুল আউলিয়া হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী মোঃ কামরুল ইসলাম।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।