ভোলার দক্ষিণ দিঘলদীর তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে অবাদে বালু উত্তোলণ ॥ দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন

ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের পুরো তেঁতুলিয়া নদীতে অবাদে চলছে বালু উত্তোলণ। বালু উত্তোলণের ফলে ইতোমধ্যে ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। এ অবস্থা চলতে থাকলে অল্প দিনেইর মধ্যেই তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে বড় ধরনের নদী ভাঙ্গন দেখা দিবে বলে আশংকা করছে স্থানিয় বাসিন্দারা।
বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়, বাঘমার ব্রীজ থেকে কোড়ালিয়া শান্তিরহাট পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে ৮/১০টি অবৈাধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলণ করে আসছে একশ্রেণীর বালু ব্যাবসায়ী। এদের মধ্যে বাঘমার ব্রীজের কাছে আমির হোসেন, হারুনগাজি, ফারুক গাজি ও নবী অন্যতম বলে জানা যায়। এরা প্রতিনিয়িত বালু উত্তোলণ করে আসছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ দিঘলদী ও গঙ্গাপুর ইউনিয়নে প্রায় গড়ে উঠেছে প্রায় ১৫/২০টির মত বালুর মহাল যা তেঁতুলিয়া নদীথেকে বালু সংগ্রহ করে নির্ভয়ে ব্যাবসা করে আসছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় ও আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে এভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু কাটার ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে তেঁতুলিয়া পাড়ের ভিটেমাটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ দিঘলদীর এক স্কুল শিক্ষক জানান, বালু কাটার ফলে নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে মানুষ দিনে দিনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃশ্ব হচ্ছে। বাংলাবাজার থেকে বাঘমারা ব্রীজ পর্যন্ত এলোপাথারি বালু মহালগুলোর কারণে জনজীবন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এরা প্রভাবশালী, বিধায় কিছু বলা যাচ্ছে না। আমির হোসেন হচ্ছে তেঁতুলিয়া নদীর বালু স¤্রাট। বিএনপি আমল ও বর্তমান সরকারের আমলেও বহাল তবিয়তে স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে বালু ব্যাবসা অব্যাহত রেখেছে।
কোড়ালিয়ার নদী সিকস্তি একপরিবার জানান, তার সব জমিই নদীতে হারিয়েছে। বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য নেতাদের পিছনে বহু ঘুড়েও কোন লাভ হয়নি। বরং অপদস্ত হতে হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা (রাত ১১টা) পর্যন্ত আমির হোসেন (০১৭১৮-৭৬১০৫৪) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিভিভ করেননি বিধায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, নদী থেকে যারা বালু উত্তোলন করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।