ঘর দিলেন প্রধানমন্ত্রী, টাকা নিলেন সমিতির নেতারা (!)

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় কর্তৃক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় গৃহহীন দু:স্থ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ৫টি সমিতির সভাপতি কর্তৃক ৪০-৮০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ নসিমন ভাড়া, বকশিস, মিস্ত্রির খাবারসহ সব মিলিয়ে ৪৫-৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। তবে কোন কোন সভাপতি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। কয়েকজন সভাপতির অভিযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিবের উদাসীনতায় নির্মাণ কাজ ততটা ভালো হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচীর অধীনে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ১ম কিস্তিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট টিনশেড ১০টি ঘর (ঘর প্রতি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা) এবং ২য় কিস্তিতে (১ লাখ ৯১ হাজার টাকা) দুই কক্ষ বিশিষ্ট টিনশেড ঘর, রান্নার স্থান ও টয়লেট সংযুক্ত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই পূর্বক ৫টি সমিতিকে ৩টি করে ১৫টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। বহরপুর ইউনিয়নের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রশান্ত সরকার, ঝড়ু সরকার, চায়না রাণী সরকার; জামালপুর ইউনিয়নের কার্তিক সরকার, সুশান্ত সরকার, উজ্জল সরকার; বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের অনন্ত সরকার, গনেশ সরকার, অখিল সরকার, মদন সরকার, মিলন কুমার দাস, সূর্য রাণী, জোসনা রাণী, পরিতোষ সরকার এবং ইসলামপুর ইউনিয়নের নিরঞ্জন সরকারের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়।
দীর্ঘ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপজেলার ৫টি সমিতির অধীনে ১৫টি ঘর পায় সুবিধাভোগীরা। প্রশাসন কর্তৃক ঘরের তালিকা চুড়ান্ত করার আগেই সভাপতিরা প্রস্তাবিত তালিকার ব্যক্তিদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। ঢাকা থেকে বাজেট, বরাদ্দ আনা ও সমিতির নানাবিধ খরচের কথা বলে ব্যক্তি বিশেষে ৪০-৫০ হাজার টাকা নগদ প্রদানের শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। একাধিক কিস্তিতে ঘরের কাজ সম্পন্নের পূর্বেই এই টাকা পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে যার নাম প্রশাসন কর্তৃক চুড়ান্ত হয় তাকেই দিতে হয় টাকা, শুরু হয় কাজ। ঘর নির্মাণ শুরু হওয়ার পর সভাপতিদের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। তারা বিভিন্ন ফন্দিফিকির করে ঘরের সাথে টিউবওয়েল ও অন্যান্য সুবিধা দেয়ার কথা বলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। সমিতির সভাপতি ছাড়াও প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঘর প্রাপ্তদের গুণতে হয় নগদ অর্থ। ক্ষেত্র বিশেষে নসিমন ভাড়া, বকশিসসহ নানাবিধ খরচসহ সব মিলিয়ে ৪৫-৮৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ঘর প্রাপ্তরা।
চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় প্রতিবেশীসহ ঘর পাওয়া ব্যক্তি, পরিবারের সাথে। ঘর পাওয়াদের মধ্যে অধিকাংশ দিন মজুর-হতদরিদ্র। অনেকেরই ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই। কেউ বাড়তি আয়ের জন্য বাড়িতে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি লালন পালন করেন। কয়েকটি পরিবার কিছুদিন হলো নতুন ঘরে উঠেছেন। কোন পরিবার ছাপড়া ঘরে বসবাস করছেন নতুন ঘরের কাজ চলছে বলে।
২য় কিস্তিতে ঘর পাওয়া পূর্বমৌকুড়ী পরিতোষের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের সাথে টয়লেট ও রান্নার স্থানসহ ইট গাঁথুনির কাজ শেষ পর্যায়ে। কাজের মানে খুবই সন্তুষ্ট পরিতোষের পরিবার। প্লাষ্টারের কাজ শেষ হলেই তিনি ঘরে উঠতে পারবেন। বর্তমানে সাথেই একটি ছাপড়ায় বসবাস করছে পরিতোষের পরিবার। তিনি বলেন, প্রায়ই সকালে ইউএনও স্যার এসে কাজ তদারকি করে গেছেন।
১ম কিস্তিতে ঘর পাওয়া নিরঞ্জন সরকারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের কাজ শেষ হয়ে গেছে, সম্প্রতি বারান্দায় প্লাষ্টার করা হয়েছে, সিড়ির কর্ণারে সামান্য আচড়েই খসে রয়েছে। প্লাষ্টারের কাজে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
১ম কিস্তির ঘর পাওয়া সুশান্ত সরকারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের কাজ শেষ পর্যায়ে পানি দেয়ার কাজ চলছে। দু’য়েকদিন আগে ঘরের কাজ শেষ হয়েছে।
২য় কিস্তির ঘর পাওয়া উজ্জল সরকারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের কাজ চলছে বারান্দায় পিলার স্থাপন করা হয়েছে। নতুন সিমেন্ট সাদৃশ্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা জানান, পিলারটি বাতাসে পড়ে গিয়েছিলো, কোনরকম লাগিয়ে রাখা হয়েছে মিস্ত্রী বলেছে এভাবেই হবে। পিআইওকে জানালে তিনি কোন সমাধান করেন নাই বলে জানান।
১ম কিস্তিতে নির্মাণকৃত ১০টি ঘরের শুধুমাত্র দুটো কক্ষ রয়েছে। ২য় কিস্তির ৫টিতে টয়লেটসহ রান্নার স্থান রয়েছে। কয়েকটির কাজ মাঝামাঝি পর্যায়ে। দুটি কেবল শুরু হয়েছে। তবে ইউএনও’র নজরদারীতে ১ম কিস্তির থেকে ২য় কিস্তিতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা কম বরাদ্দ হলেও ল্যাট্রিন ও রান্নাঘরসহ দৃশ্যমান ভালো কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীসহ সবাই।
পূর্বমৌকুড়ী ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সদস্য নিরঞ্জন সরকার, তিনি পেশায় ভ্যানচালক। দুই সন্তানসহ ৪জনের পরিবার তার। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া একটি ঘর পেয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘর দিতে আমাদের সমিতির সভাপতি প্রদীপ ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি তাতেই রাজি হই। ঘরের কাজ শুরু হওয়ার পর টয়লেট, টিউবওয়েল দেয়ার প্রলোভনে আরও ৩ কিস্তিতে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন সভাপতি প্রদীপ। আশা ও স্থানীয় একটি সমিতি থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি। শ্বশুর ও চাচাশ্বশুরের কাছ থেকে ২০ হাজার ধার করেছি। ঘরের কাজ শেষ করতে বকশিসসহ বিভিন্ন কাজে আরও ৫-৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি এখন ঋণের দায়ে জর্জরিত, প্রতি সপ্তাহে ১২ শ টাকা কিস্তি দিতে হয়। ঘরের কাজও নিম্নমানের হয়েছে। এখনো ঘরে উঠিনি, অথচ ফ্লোরে কিছু জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। আমি প্রতারণার স্বীকার হয়েছি, আমি প্রদীপের শাস্তি চাই, আমার টাকা ফেরত চাই। ঘর পাওয়া ১৫ জনকেই সভাপতিদের নগদ ৪০ হাজারের উপরে টাকা দিতে হয়েছে বলেও তিনি জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘর পাওয়া অনেকেই জানান, ‘একটি ঘরের আশায় দীর্ঘদিন কেটেছে তাদের। ঘরের স্বপ্ন পূরণে তিলে তিলে সঞ্চিত অর্থ ছাড়াও বাড়িতে পালিত গর-ছাগল, হাঁস-মুরগি যা ছিল সবই বিক্রি করতে হয়েছে। উপজেলার অফিসে টাকা দেয়ার কথা বলে সভাপতি মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। কাজ মাঝামাঝি হওয়ার পর বিভিন্ন অজুহাতে সভাপতি কয়েক হাজার টাকা নিয়েছেন। পরিবহন খরচ, মিস্ত্রির খাবার ও বকশিস দেয়াসহ আরও ৫-৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সভাপতিদের টাকা দিয়ে এখন ঋণের দায়ে জর্জরিত। জানিনা কবে এই ঋণ শোধ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো’।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের একজন নিখিল সরকার। তিনি বলেন, সরকারি ঘরের স্বপ্ন ছিলো দীর্ঘদিনের। কিন্তু সভাপতি সুশান্ত কুমার (পাইলট) বলেছেন ৫০ হাজার টাকা লাগবে। আমি ভ্যান চালাই এতো টাকা পাবো কোথায়, টাকা নাই বলে আর সরকারি ঘরের স্বপ্ন দেখি না। প্রতিবেশীরা বলেছেন, ‘ঢাকা থেকে বাজেট আনতে সভাপতির অনেক টাকা লাগে শুনি, সভাপতিরে টাকা না দিলি সরকারি ঘর পাওয়া যায় না, টাকাও নাই, ঘরও নাই! যদি আপনাগো সুযোগ থাহে তালি পারে আমাগের একখান ঘরের ব্যবস্থা দেন।
পূর্বমৌকুড়ী ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সুশান্ত কুমার (পাইলট বলে পরিচিত) বলেন, ‘আমি ঘর বাবদ তেমন কোন টাকা নেইনি। শুধুমাত্র ৫-৭ হাজার টাকা নিয়েছি পারিশ্রমিক হিসেবে। কিছু খরচ-টরজ হয় তো।
বহরপুর আদিবাসী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির সভাপতি সমীর কুমার দাস, ঘরের কাজ ঢিলেঢালা এবং কিছুটা নিম্নমানের হওয়ায় আমি একাধিকবার পিআইও কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। নগদ অর্থ গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝড়ু সরকারের কাছ থেকে নগদ ৫৫ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে সমিতির উন্নয়নকল্পে, এটা রেজুলেশনে লেখা আছে।
হাড়িখালি আদিবাসী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির সভাপতি বিধান সরকার বলেন, ঘর বাবদ সমিতির উন্নয়নের জন্য টাকা নেয়া হবে, তবে এখনো কোন টাকা নেয়া হয়নি। কত টাকা নিবেন এমন প্রশ্নে বলেন ১০-১৫ হাজার টাকা নেয়া হতে পারে।
জামালপুর ইউনিয়ন আদিবাসী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির সভাপতি বিনোদ সরকার বলেন, ৭ কড়াই বালুর সাথে ১ বস্তা সিমেন্ট দিয়ে প্লাষ্টার করা হয়। পিআইও’কে একাধিকবার বললেও সে সমাধান করেন নাই। ঠিকাদারের সাথে তার সখ্যতা থাকায় যোগসাজসে কিছুটা এমন নিম্নমানের কাজ করেছেন। ঘর প্রতি নগদ অর্থের বিষয় এড়িয়ে গেলেও কথা প্রসঙ্গে বলেন, আমি কার্তিকের স্ত্রীর কাছ থেকে ঘর বাবদ দ্ইু কিস্তিতে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছি। অন্যদের উত্তরে আমতা আমতা করেন।
বালিয়াকান্দি দলিত নৃ-গোষ্ঠী উৎপাদনমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি প্রদীপ দাস বলেন, ‘দাদা টেনশন কইরেন না, আমি দুপুরে এসে কিভাবে কি হয়েছে বলব। ফোনেই অভিযোগের উত্তর চাইলে তিনি বলেন পরে বলছি।’
রাজবাড়ীতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেন এসপিএমপি নামক এনজিও। এনজিওর পরিচালক মো. মোকাররম হোসেন বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা খুব পরিশ্রমী। তারা সরকারি ঘর পেয়েছেন এটা নি:সন্দেহে আনন্দের। কিন্তু সেখানে যদি বড় অংকের ঘুষ দিতে হয় তাহলে খুবই দু:খজনক। বিষয়টি তদন্তপূর্বক টাকা ফেরতসহ শাস্তি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি প্রশাসনের প্রতি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বলেন, প্রতিটি ঘরের নির্মাণসামগ্রী খুবই ভালো মানের দেয়া হয়েছে। সকল সুবিধাভোগীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়েছে কাজ বুঝে নিতে, যদি মিস্ত্রি কোন ত্রুটি করে সেটিও আমাকে জানাতে বলা হয়েছে। ঘরের কাজ ভালো করতে আমার বিরুদ্ধে আনা উদাসীনতার অভিযোগ ভিত্তিহীন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প এখানে কোন গাফিলতির সুযোগ নেই, আমার আন্তরিকতার সর্বোচ্চটুকু দিয়েছি এই প্রকল্পে, কোন সুবিধা নেয়ার প্রশ্নই আসেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ১৫টি ঘরের মধ্যে ২য় কিস্তির ৫টি আমি নিজে যাচাই-বাছাই করে বরাদ্দ দিয়েছি। ঘরের কাজ একাধিকবার স্বশরীরে পরিদর্শন করেছি। বুঝিয়েছি কোনভাবে কেউ যেন আর্থিক লেনদেন না করে এজন্য বেশি বেশি পরিদর্শন করেছি। সুবিধাভোগীর নিকট জানতে চেয়েছি আর্থিক বিষয়ে সে সময় তারা অভিযোগ করেননি। এটা প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যে দেয়া ঘর। তারপরও যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ঘরে উৎকোচ গ্রহণ করা হয়, সেটি কোন ভাবেই সহ্য করা হবে না। ঘর নির্মাণের কাজের বিষয়ে তারা পিআইও’র সাথে যোগাযোগ করেও সমাধান পাইনি এটা সঠিক বলে আমার মনে হয়না। অভিযোগের সার্বিক বিষয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে। যদি প্রমাণিত হয় কেউ অর্থ গ্রহণ করেছেন কিংবা কাজে গাফিলতি করেছেন তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সমিতির অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সদস্যপদ বাতিলসহ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে দ্রুততার সাথে।

সুত্র : http://www.protidinersangbad.com/whole-country/230159

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।