লালমোহনে দাফনের ৯ দিন পর প্রতিবেশির মারধরে বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ
লালমোহনে মাদক ব্যবসায়ীর হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য গুরুতর আহত ॥ আটক-১
![](https://bholarbani.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ভোলার লালমোহন পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডে মাদক উদ্ধার অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন কাওসার হোসেন (২৬) নামের এক গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সদস্য। তার মাথায় মাদক ব্যবসায়ীরা ইট দিয়ে পিটিয়ে থেতলে দেওয়াসহ ব্যাপক মারধর করেছে। গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টার মাদক উদ্ধার অভিযানে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় রোববার রাতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার লক্ষে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। রোববার রাতে পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের চরছকিনা এলাকার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী মিরাজকে ধরতে গিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ডিবি পুলিশ রাতে লালমোহন থানা পুলিশ নিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে এলাকায় অভিযান চালান।
লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবীর জানান, রোববার সন্ধ্যর দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মর্যাদার এক কর্মকর্তার সাথে লালমোহন থানার ১০ নং ওয়ার্ডের চরছকিনা এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযানে যান ডিবি পুলিশ। ওই এলাকার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী মিরাজ। তাকে ধরতে কৌশল অবলম্বন করতে ডিবি সদস্য আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এক পর্যায়ে ইয়াবাসহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে দেন। এসময় মিরাজের স্ত্রী কহিনুর, মিরাজের সহযোগী মাসুম এগিয়ে এসে ডিবি পুলিশের উপর হামলা চালায়। মাসুম ইট দিয়ে ডিবির কনস্টেবল কাওসার হোসেনকে মাথা থেতলে দেন এবং বেধম মারধর করে পালিয়ে যায়।
ওসি আরও বলেন, মাদক ব্যবসায়ী মিরাজের বিরুদ্ধে ৬/৭ টি ইয়াবা মামলা রয়েছে। এর আগেও ২৭০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে মিরাজ। রোববারের ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই শংকর বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৬ জনকে চিহ্নিত করে ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার ১ নং আসামী হামলাকারী মিরাজের স্ত্রীকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে।