ধারনা করা হচ্ছে জমি-জমা বিরোধেই এ হত্যাকান্ড

বোরহানউদ্দিনে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় গলাকাটা অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯ আগস্ট বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের এর জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে জমি-জমা বিরোধের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বড়পাতা গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে সুমি আক্তার (৪০) এর গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে লালমোহন সার্কেল এসপি রাসেলুর রহমান এবং বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মাজহারুল আলশ সহ একটি পুলিশের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সুমির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো অস্ত্র (বটি) উদ্ধারা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ধারনা করা হচ্ছে দর্জি বাড়ীর আবুল হোসেন পরিবারের সাথে একই বাড়ীর শাজাহান দর্জির সাথে জমি-জমা বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। আবুল হোসেন এর ছেলে সন্তান না থাকায় মেয়ে সুমি আক্তার কে বিয়ে দেয়ার পর থেকে সে বাবার বাড়ীতেই থাকে। তার স্বামী সাহেব আলী ঢাকায় রড মেস্ত্রীর কাজ করেন। সুমির ৪ সন্তান। এদের মধ্যে ২ মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। তৃতীয় মেয়ের বয়স ১২ বছর এবং ছোট মেয়ের বয়স ১ বছর। ঘটনার দিন সুমি’র বৃদ্ধ মা তার ১১ বছরের মেয়ে রিনাকে নিয়ে পাশের বাড়ীতে দাওয়াত খেতে যায়। এ সময় সুমি একা ছোট মেয়েকে নিয়ে বাসায় ছিল। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা তাকে ঘরের পিছনে বাথরুমের পাশ থেকে গলাটাকা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় সেখান থেকে একটি ধরালো বটি উদ্ধার করা হয়। তারা আরো জানান, সুমিদের সাথে গত ২ থেকে ৩ দিন পূর্বে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে একই বাড়ীর শাজাহান দর্জির সাথে শালিশ বৈঠক হয়। শালিশির ২-৩ দিন পরেই এই হত্যাকান্ড। ধারনা করা হচ্ছে প্রতিপক্ষ গ্রুপ এ হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মাজহারুল আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে গলাকাটা অবস্থায় সুমির লাশ উদ্ধার করি। এ সময় সেখান খেকে একটি ধারালো অস্ত্র (বটি) আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে কোন কিছুই বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পর সবকিছু পরিস্কার হবে।
লালমোহন সার্কেল এসপি রাসেলুর রহমান জানান, আমরা ঘটনা স্থলে এসে সুমির লাস দেখতে পাই এবং তা উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলায় প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এখন কোন কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।