রসুনের ঔষধি গুন
মোঃ মহিউদ্দিন
প্রভাষক
ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ।
প্রাচীনকাল থেকেই রসুন একটি উত্তম ঔষধি হিসেবে পরিচিত,
ভেষজ কিৎসকদের কাছে আছে এর ঔষধি গুণের অবাক করা তথ্য।
প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক
বহু গুণে গুণান্বিত রসুন,
তাই খাবারে নিয়মিত রসুন ব্যবহার করুন।
কাঁচা রসুন খেলে এড়ানো যায় অসংখ্য রোগ,
নিয়মিত রসুন খেয়ে দূর করুন রোগের ভোগ।
রসুনে বাড়ায় রসনার স্বাদ,
এ তো খাবার নয় যেন পুরোটাই ঔষধ !
জেনে নিন এর উপকারিতা দারুন,
সাথে বহু ওষুধি গুনাগুন।
রসুনে আছে
প্রোটিন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন, রিবোফ্লাবিন,থায়ামিন।
উচ্চ রক্তচাপ দূরকরে, হজম শক্তি বাড়ে।
নিয়মিত খেলে স্তন ক্যান্সারের নেই ভয়,
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ হয়।
শুক্রতারল্য রোধ করে, যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ট্রাইকোমোনিয়াসিস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে,
রান্না করার রসুনের অ্যালিসিন নষ্ট হয়,
অ্যালিসিন দেহের ক্যান্সারকে রুখে দেয়।
চোখের ছানি পড়া থেকে রক্ষা করে,
দাঁদ,খোসপাচড়া,চর্মরোগ দূর করে,
দূর করে ক্ষুধামন্দা ভাব,
দ্রুত কমিয়ে আনে উচ্চরক্তচাপ।
এর চমৎকার ক্ষমতা ভাইরাস রোধে,
যেখানে কাজ করে না এন্টিবায়োটিকে।
যক্ষা রোধী,ব্যাকটেরিয়া বিরোধী।
কৃমিনাশক, গিটে বাত -আর্থ্রাইটিস প্রশমক।
হৃদ রোগীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়,
রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রিত হয় ।
নিয়মিত খেলে রসুনে,
ব্লাডে সুগার কমিয়ে আনে।
দাঁতের ব্যথা দূর করে, দাঁতের মাড়ি শক্ত করে।
ত্বকের যতেœ রসুনের ব্যবহার এর জুড়ি নেই,
ত্বকের দাগ,ব্রণের দাগ রসুনে দূরকরে নিমিষেই।
রক্ত পরিষ্কার করে,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে।
খুবই উপকার ঠান্ডা,কাশি জ্বরে।
সকল ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
শ্বসনতন্ত্রের রোগ নিরাময় করে,
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে।
রসুনের এন্টি-অক্সিডেন্ট
ফ্রিরেডিকেল নিষ্ক্রিয় করে,
অকাল বার্ধক্য রোধ করে।
স্মরণ শক্তি প্রবল করে।
না বুঝে শুনে অতিরিক্ত রসুন খেলে
হিতে বিপরীত হতে পারে,
রসুনের গ্যাস,এলার্জি বাড়ে।
কাঁচা রসুন খেলে মুখে দুর্গন্ধ হয়,
অপারেশনের আগে রসুন খেলে
রক্ত জমাট না বাঁধার আছে ভয়,
ভেষজ চিকিৎসকদের পরামর্শ
মতো খাবেন দুগ্ধদানকারী
ও গর্ভবতী অবস্থায়।