আপেলের ঔষধি গুন
মোঃ মহিউদ্দিন
প্রভাষক
ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ।
আপেল খেতে যেমন সুস্বাদু,
ঔষধি গুণে ভরা এতে আছে রোগমুক্তির জাদু,
প্রতিদিন একটি করে আপেল খাবেন,
চিকিৎসকদের বাড়ি থেকে দূরে রাখবেন।
দিন দিন আমাদের শরীরে
বাসা বাঁধছে হাজারো রোগে,
কেউবা আবার ধুকেধুকে মরছে
দুরারোগ্য রোগে ভোগে।
এসব দিন দিন বেড়েই চলছে ভুল খাবারের থেকে,
সাধারণ খাবারের চেয়ে আপেলে
অধিক পুষ্টিগুণ থাকে।
নিয়মিত আপেল খেলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আপেল খেলে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের
সম্ভাবনা কমে,
কারণ আপেলে আছে ফ্লাভোনল প্রচুর পরিমাণে। ডায়াবেটিস কমে এতে আছে প্রচুর ফাইবার,
কমিয়ে আনে মাত্র রক্তের শর্করার।
নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরলের
মাত্রা সঠিক থাকে,
যা হার্টকে সুস্থ সবল রাখে।
পিত্তে হতে দেয় না পাথর,
জমে না কোলেস্টেরল ।
চিকিৎসকরা বেশি বেশি খেতে বলেন ফাইবার,
ডায়াবেটিস ও কোষ্ঠকাঠিন্য করে দূর।
যদি টয়লেটে যান বারে বারে
আপেল পেটের বর্জ্য থেকে জলধরে
ডিহাইড্রেশন রোধ করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে,
আপেল লিভারের ক্ষতিকর উপাদন
বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।
আপেলে আছে জুয়েরসেটিন
যা এক জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে,
দাঁত জীবাণু মুক্ত হয় নিয়মিত আপেল খেলে।
আেেপলে আছে শর্করা,খনিজ লবণ, ভিটামিন, ম্যালিক এসিড,পেকটিন।
খনিজ লবনের মধ্য আছে
পটাশিয়াম,ফসফরাস,লৌহ,
আপেলে থাকা সোডিয়ামের পরিমাণ
খুবই সামান্য।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ে, ত্বক মসৃণ করে।
শরীরের কোষ রক্ষা করে,হজম শক্তি বাড়ে।
আপেলের ম্যালিক এসিড ইউরিক এসিড কে নিষ্ক্রিয় করে।
বাত ব্যাথা দূর করে, ফ্রিরেডিকেল দূর করে।
পানিশূন্যতা রোধ করে।
আলঝেইমার প্রতিরোধ করে।
আপেলে থাকা বোরণ হাড় শক্ত করে।
আপেল ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে,
তাতে পরিপাকতন্ত্রে সহজে হজম করতে পারবে।
এটি টুথব্রাশের মত কাজ করে,
খালি পেটে আপেল খাওয়া উচিত নয়,
তাহলে বদহজমের আছে ভয়।
খাবার আগে অবশ্যই ধুয়ে নিতে হয়।
টিফিন বক্সে অথবা সাথে থাকা ব্যাগে
যেন সব সময় আপেল থাকে,
নিয়মিত আপেল খেলে রোগ মুক্ত
শরীর ও মন ভালো রাখে।