দৌলতখানে স্বামীর প্রেমে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে জখম

দৌলতখানে স্বামীর প্রেমের সম্পর্কে বাধা এবং যৌতুকের টাকা এনে না দেয়ায় রুজিনা নামে এক গৃহবধূকে আগুনে পোড়া (লাকরি) দিয়ে মারধর করে তার শরীর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গৃহবধূ বর্তমানে দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটে দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম বেপারী বাড়ীতে। তার বাড়ী দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ছোটধলী গ্রামে।

আহত গৃহবধূ রুজিনা বেগম আজ সাংবাদিকদের জানান, ২০১৭সালে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল ইসলাম বেপারীর ছেলে নিজামের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় সৈয়দপুর ইউনিয়নের ছোটধলী গ্রামের মৃত কাঞ্চনের মেয়ে রুজিনার।

বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুকের টাকার জন্য তার সাংসারিক জীবেনে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হন ওই গৃহবধূ।

পরবর্তীতে মেয়ের সাংসারিক জীবনের সুখ-শান্তির দিকে তাকিয়ে তার মা ব্যবসা করার জন্য নগদ একলাখ টাকা ও দুই (ভরি স্বর্ণ) দেন তার স্বামী নিজামকে। তার একটি দেড় বছরের ফুটফুটে ছেলে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের দুই বছর পর তার স্বামী নিজাম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এতে হঠাৎ একদিন মোবাইল ফোনের এসব মেয়েদের সঙ্গে ভিডিও কথোপকথন দেখে ফেলেন আহত গৃহবধূ রুজিনা। এসব অনৈথিক কাজে বাধাঁ দেয়ায় বিভিন্ন সময় মারধরের শিকার হতেন ওই গৃহবধূ।

ঘটনার দিন তার স্বামী নিজাম ৫হাজার টাকা তার বাপের বাড়ী থেকে এনে দেয়ার জন্য আহত গৃহবধূকে চাপ প্রয়োগ করেন। পরবর্তীতে টাকা এনে না দেয়ায় এবং মেয়েদের সঙ্গে অনৈথিক সম্পর্কে বাধাঁ দেয়ায় ওই গৃহবধূকে চুলা থেকে উঠিয়ে পোড়া লাকরি দিয়ে মারধর করে তার শরীর পুড়িয়ে জখম করেন । বর্তমানে ওই গৃহবধূ দৌলতখান হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী নিজাম পলাতক রয়েছে। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, এ ঘটনায় দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।