পুলিশের গুলিতে সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন

কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুর চেক পোস্টে পুলিশের গুলিতে এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি পুনর্গাঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহে এলিদ মইনুল আমিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে নতুন কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। কমিটিতে জিওসি, ১০ পদাতিক ডিভিশন ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি, একজন উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।

আদেশ পত্রে বলা হয়, সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার উৎস, কারণ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় ইত্যাদি উল্লেখ করে সুস্পষ্ট মতামতসহ আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে এই কমিটিকে।

এর আগে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় একটি চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের।

পুলিশ বলছে, পরিচয় দিয়ে তল্লাশিতে বাধা দান ও পরে পিস্তল বের করায় ওই সাবেক সেনা সদস্যকে গুলি করে চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের করা হয় এবং দুইজনকে গ্রেফতারও করা হয়। এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বীর হেমায়েত সড়কের মৃত এরশাদ খানের ছেলে। একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের কথা বলে গত প্রায় একমাস ধরে একজন নারী এবং তিনজন পুরুষসহ কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন তিনি।

এদিকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় বনানীর সামরিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। আজ সোমবার তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

সূত্র- ইত্তেফাক

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।