সর্বশেষঃ

দৌলতখানে গরু বেশি ক্রেতা কম, টাকা নাই বাজেট কম

দৌলতখানে জমতে শুরু করেছে বাজারে কোরবানির পশু কেনা-বেচা। তবে বাজারে দেশীয় পশুর বিপুল পরিমাণ সরবরাহ রয়েছে। হাটে এসে ঘোরাঘুরি করছেন ক্রেতারা। বাজেটের সঙ্গে পছন্দের পশু মেলাতে পারছেন না।
এবার আগ্রহ বেড়েছে ছোট পশুতে। শেষ সময়ে দাম কমার অপেক্ষায় আছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা কাঙ্ক্ষিত দামে পৌঁছা পর্যন্ত লোকসান দিয়ে পশু ছাড়ছেন না।
দৌলতখানের কয়েকটা পশুরহাটে  ঘুরে দেখা যায়, নানা দাম ও রঙের পশু বাজারে উঠেছে। তার মধ্যে দেশীয় পশুর সরবরাহ অন্যান্য বছরের তুলনায় বাজারে বেশ ভালো। কিন্তু বিক্রেতারা ক্রেতা সংকটে দিশেহারা। দুপুর  ১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটে অবস্থানের পর বিক্রি না হওয়ায় পশু নিয়ে আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
 তবে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও আশানুরূপ ক্রেতার দেখা মিলছে না এখনও।  হতাশায় ভুগছেন পশু খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
এদিকে দৌলতখান বাজারের পৌর শহরে পশুর হাট-বাজারগুলোতে অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ইজারাদার মাইকে বারবার ঘোষণা দিয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন। বিপুল লোকসমাগমের কারণে এ ঘোষণা কেউ কর্ণপাত করছেন না।
এদিকে দুটি গরু  নিয়ে বিপাকে আছেন চরখলিফা ইউনিয়নের  কাঞ্চন । তিনি জানান, প্রতিবারই দুটি করে গরু লালন-পালন করেন। গত বছর ঈদের এক সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকেই সেগুলো বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার করোনার কারণে বাড়িতে ক্রেতা তেমন মেলেনি। তিনি গরু দুটি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
একই ইউনিয়নের  গরু বিক্রেতা রুহল আমিন মাষ্টার জানান, করোনা সংকটে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে গরু পালন কঠিন হয়ে গেছে। ক্রেতা নেই বলে গরু বিক্রি করতে পারছেন না। দিন যত এগুচ্ছে চিন্তার ভাঁজ বেড়ে যাচ্ছে।
ক্রেতা আমির হোসেন বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার দাম কম। করোনা ভাইরাসের কারনে এবছর গরু কেনার জন্য বাজেট ও কম আমাদের। আমরা গরু দেখছি। আজ পছন্দ হলে কিনবো, না হলে আরও একটা বাজার দেখার পর কিনবো। তবে এ বছর ছোট গরু দেখে কিনবো। এখনও তো কোরবানির ৩ থেকে ৪দিন বাকি আছে।
দৌলতখান বাজারের কোরবানির হাটের ইজারাদার আলাউদ্দিন ভূইয়া জানান, হাটে আশপাশের এলাকার প্রচুর গরু উঠেছে। স্থানীয় গরুই বেশি, কিন্তু বিক্রি কম। ফলে এবার লাভ না হয়ে ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।
এ বাজারে দুইদিন পরপর হাট বসলেও আগামীকাল হাটে কাঙ্ক্ষিত বেচা-বিক্রি হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে আমাদের কমিটির লোকজন প্রবেশ দ্বারে দাঁড়িয়ে  থেকে দুপুর পর্যন্ত মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি। বেলা ২টার পর বিপুল ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে পশুরহাটে আমাদের পুলিশের একটি টিম তৎপর রয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।