লালমোহনে দাফনের ৯ দিন পর প্রতিবেশির মারধরে বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ
জীবনের ডায়েরী থেকে গল্প সমগ্র : পর্ব-৩৪
![](https://bholarbani.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন)
(গত সংখ্যার পর) : মানস : ওরে বাবা তাইতো, সত্যি দেখছি, প্রস্তান স্ত্রী ভাগ্যের ধন, মুখের কাছে এসে ভাতের গ্রাস খসল। বিয়ে করলেও নাজেহাল, না করলেও তবু টুকে নেই। নকল করিতে লাগিলেন। নিহারিকা (নিহা) গাঙ্গুলী ডায়োসেশনের নবিনা গ্রাজুয়েট, ম্লান মুখে হাতে ব্যাগ ঝুলাইয়া প্রবেশ করিলেন।
নিহা : দশ টাকার জন্য রোজ তিন ক্রোশ, আর পারিনে, (মানসের পিছনে আসিয়া) ঘারটা একটু সরালেন ?
মানস : (মুখ ফিরাইয়া) ঘাড়তো এখঅনে বসে থাকার জন্য আসে নি, একটউ পরেই সরবে।
নিহা : ক্ষমা করলেন, ওটা কি ওয়ান্টেড ?
মানস : (মুখ ফিরাইয়া) ওহঃ মাফ করবেন, আমি ভেবেছিলাম আর কেউ।
নিহা : ওটা কিসের ?
মানস : একটা বিজ্ঞাপন, শুনলেন ?
ডধহঃবফ ধ ঃঁঃড়ৎ ধহফ ঃঁরঃড়ৎবংং নড়ঃয মৎধফঁধঃবং ড়ৎ ৎং, ১০০ ধহফ ১২০ ৎবংঢ়বপঃঁবষু ভড়ৎ সু হবৎষু ভধঁহফবফ মরৎষং ংপযড়ড়ষ.
নিহা : ঠিকানা এইরে সেরেছে, আপনার স্ত্রীও কি গ্রাজুয়েট বেকার ? কেন, বলুন তো ?
মানস : লেজুড় আছে, দেখুন মাস্টারি হাজবেন্ট এন্ড ওয়াইফ, বাংলা করে বুঝাব ? না বুঝেছি, থ্যাঙ্কস। মানস, ঠিকানাটা নিয়ে যান।
নিহা : দরকার নেই।
মানস : একই তো বেকার প্রস্থান, অন্যদিকে ব্লাউজের হাতায়, আর পায়ের জুতায় তালি পড়েছে। একটা স্বামী থাকলে ! দি-আইডিয়া (নহার উদ্দেশ্যে) দেখুন, দাঁড়ান, শুনন, শুনছেন। নিহারিকা পুনঃ প্রবেশ।
নিহা : কি হয়েছে ?
মানস : দুটু কথা জিজ্ঞাসা করব, মনে কিছু করবেন না তো ?
নিহা : আমার সময় নেই। নয়টায় টিউশনি আছে।
মানস : অল্প কথা দুটু আপনি কি গ্রাজুয়েট ?
নিহা : ডায়োসেশন থেকে………….
মানস : যেখান থেকে হোক, একটা কথা বলতে চাই, একটা কথা বলব, কোন মতলব আছে, ভাববেন না, আমি গ্রাজুয়েট এবং গরীব, তাবে ভদ্র লোক, আমার সাথে পাটনারশিপে…….
নিহা : (হাত ঘড়ি দেয়িা) নয়টা প্রায়ই বাজে। আমাকে……
মানস : নয়টা দশটা যা ইচ্ছে বাজুক, আমার কথামত আর টিউশনি করতে হবে না। আর কেউ জানবেও না, আমি আর আপনি আর আপনার বুড়ো বাপ-মা, ঠিক আছে তো ?
নিহা : থ্যাংকস, গুড বাই।
(চলবে—————-)