ভোলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট মাছ বাজার সংলগ্ন ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আজিজ কর্তৃক জেলের স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২২/০৭/২০ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে নুরুদ্দিন মাঝির স্ত্রী আকলিমা বেগমের বাসার সামনে।
সুত্রে জানা যায়, সারা পৃথিবীতে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার কারনে জেলে আবু ছায়েদ তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে এলাকার কলেজ পড়ুয়া সোহেল দ্বারা প্রাইভেট পড়াইতেন স্থানীয় নুরুদ্দিন মাঝির বাড়িতে দেন।
স্থানীয় জেলে নুরুদ্দিন মাঝির বাড়িটি রাস্তার পাশে থাকার কারনে স্থানীয় বকাটে কয়েকজন মাদকখোর উঠতি বয়সি ছেলেরা প্রতিদিন প্রাইভেট পড়তে আশা মেয়েদেরকে উক্তক্ত্যে করতো এবং রাস্তার পাশ থেকে সিগারেট, চিপস, কাগজ জানালা দিয়ে ছুরে মারে এবং প্রাইভেট মাস্টারকে স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের পড়াইতে না বলেন, এবং তাকে এলাকা ত্যাগ করতে বলেন। প্রাইভেট মাস্টার সোহেল এলাকা ত্যাগ না করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে জানান সোহেল মাস্টার।
স্থানীয় জেলে নুরিদ্দিনের স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান, আমার স্বামী প্রায় দিনই আমাদের আহারের ক্ষুদা মিটানোর জন্য নদীতে যায়। আমার স্বামীর বন্ধু জেলে আবু ছায়েদ এর তিন মেয়ে আর আমার মেয়ে সহ একজন শিক্ষক বাসায় রেখে প্রাইভেট পড়াইতাম। কিন্তু প্রতিদিন স্থানীয় কিছু বকাটের কারনে আমার মেয়ে সহ ওদের পড়াইতে অনেক সমস্যা করে আঃ আজিজ এর পৃষ্ঠপোষকতায় চলা ইউসুফের ছেলে শাকিল, আলামিন এর ছেলে হাসান, হানিফের ছেলে ফয়সাল সহ আর ৫-৬ জন বকাটে যুবকেরা। আমি এদের থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় মেম্বার নলি কাকাকে জানালে তিনি বলেন, আমি দেখি তার পর তোকে জানাবো এই বলে সে ও বিষয়টি এরিয়ে যায়।
আমি মেম্বার নলি কাকাকে স্থানীয় যুবকদের নামে বিচার দিলে তার ভাই ওয়াড আ’লীগ সভাপতি আঃ আজিজ বাসার সামনে এসে প্রকাশ্য লোক মুখে আমাকে ও আমার গোষ্ঠিসহ অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে যাহা সমাজ বিরোধী কাজ এবং আমাকে ঘরের ভিতর মারতে এসে বুক চেপে ধরে পড়নের শাড়ি খুলে ফেলার চেস্টা করলে স্থানীরা আমাকে তার কাছ থেকে উদ্বার করে ঘরে নিয়ে আসে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন তাকে এলাকা থেকে স্থানীরা সরে যেতে বলেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় ওয়াড আ’লীগ সভাপতি আঃ আজিজ স্থানীয় সাবেক ভেদুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ও বর্তমান ৬ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য নলির প্রভাবে তার ভাই আজিজ বকাটে এই উঠতি বয়সী ছেলেদের দ্বারা বিভিন্ন অপকর্মের করে বেরাচ্ছে এবং তাদেরকে দিয়ে সকল অপকর্মের সেল্টার দেয় বলে জানান নাম না প্রকাশে স্থানীয় অনেকে।
অভিযুক্ত আঃ আজিজ এর সাথে কথা বলতে গেলে তাকে তার বাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত আজিজ এর বড় ভাই ভেদুরিয়া ৬ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য নলি মিয়ার সাথে বার বার চেস্টা করা হলে ও তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের কাছে এসে সত্যতা স্বীকার করেন।
ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান তাজুল মাস্টারের মাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি এ ব্যাপারে কিছুই আপাতত জানি না জানলে সব ঘটনা শুনে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
ঘটনার ব্যাপারে ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সফেক্টর আরমান এর জানান, আমি ঘটনা শুনেছি, কিন্তু কোন লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।