ভোলা শহর রক্ষা বাঁধে ধ্বস, জনমনে আতঙ্ক

ভোলায় শহর রক্ষা বাঁধে ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে সরকারের ৫শ’ কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। শহর রক্ষা বাঁধে ধ্বস হওয়ায় ঙাঙ্গন কবলিত এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা য়ায়, ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুরে শতকোটি টাকার ব্লকে ধ্বস দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ইলিশার ৭ নাম্বার প্যাকেজ সহ কয়েকটি পয়েন্টে ব্লকের স্তর নদীতে ঝুকে পড়ায় আতংক দেখা দিয়েছে পুরো রাজাপুর ও ইলিশায়। জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার না হলে ভেস্তে যেতে পারে সরকারের ৫’শ কোটি টাকার প্রকল্প। এছাড়া ১৯ নাম্বার প্যাকেজের যে ব্লক ধ্বস হয়েছে তা বগুরার পারিসা নামের একটি কোম্পানী কাজ করেছে বলে জানা গেছে। এনজেড কোম্পানির করা হার্ডপয়েন্ট ৭ নাম্বার প্যকেজেও ধসনামার আশংকা দেখা দিয়েছে। ১৯ জুলাই রোববার রাজাপুর ও ইলিশার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভোলা সরদর উপজেলার পুর্ব-ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের একাংশ মেঘনার ভাঙ্গনের কবলে বহু বছর। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন রক্ষাবাঁধের ব্লকের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। কাজের অগ্রগতি দেখে জনমনে আশার সঞ্চার হয়েছিলো। অনেকাংশের কাজ শেষের দিকে, কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার সময় হলেও এরই মধ্যে শনিবার রাতে রাজাপুর অংশে ব্লকে বিশাল অংশ নদীতে ধসে পড়ে।
ব্লক ধ্বসের ঘটনা শুনে সকাল থেকে শতশত এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ভীড় করে। তা দেখে কেউ কেউ হতাশার সাথে ক্ষোভও প্রকাশ করেন। ওই স্থানের উপস্থিত এলাকার একাধিক লোকের সাথ আলাপ করলে তারা বলেন, কাজের মান নিয়ন্ত্রণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি থাকার পরও কেন হঠাৎ করে নদীর এই শান্ত অবস্থায়ও ব্লক ধ্বসের ঘটনায় সকলেই হতবাক হয়ে পড়েছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্র আরাফাত বলেন–, বর্ষা আসার আগেই এভাবে ব্লক ধ্বসের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা আশাকরি যথাযথ কর্তৃপক্ষ উক্ত ধ্বসের ঘটনা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে ব্লক নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সাথে ফোনে একাধিক যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ব্লক ধ্বসের ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ ভোলার বাণীকে বলেন, মেঘনার ¯্রােত অতন্ত বেশি। এই ¯্রােতের ফ্লোটা দিক পরিবর্তন করে। ওই ফ্লোটাই আঘাত করেছে সেখানে। ব্লক ও ডিজাইনটা এমনভাবে তৈরী যে, এটা বসানোর পর আস্তে আস্তে লান্স করে পানিতে নেমে যাবে। কিন্তু মেঘানার অতি ¯্রােতের ফ্লো’র কারণে এটা নামতে পারে নাই। ভাঙ্গন কবলিত স্থানে আজ-ই আমরা দ্রুত সংস্কারের কাজ করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।