ভোলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন নবীন
ভোলার ভেদুরিয়ায় খোলা বাজারে নারীকে নির্যাতণের অভিযোগ
ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট বাজারের গোল চত্তরে, তাসলিমা নামের এক নারীকে শারীরিক নির্যাতণ ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তাসলিমা গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানিয়রা তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। খবর পেয়ে অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে শনিবার রাঁেত তাসলিমার উপর ভোলা সদর হাসপাতালে হামলা করে। নির্যাতিতা নারী এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
ঘটনার সুত্রমতে, শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১ টার সময় ব্যাংকের হাট বাজারের ব্যাবসায়ি বাবুল মাষ্টারের দোকানে জমি বিক্রির টাকার জন্য ধরনা দেয় ৩ সন্তানের জননী ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ১২ তারিখ সংলগ্ন তাসলিমা বেগম (৪০)। সেখানে তারই প্রতিবেশী বাবুল ও মাইনুদ্দিন জমি বিক্রির টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পাওনা দাবি করে। তাসলিমা দিতে অস্বীকার করায় বাজার ভর্তি মানুষের সামনে এই নারীকে দোকানের ঢাসা দিয়ে মেরে অজ্ঞান করে ফেলে স্থানিয় বাবুল ও মাইনুদ্দিন। পরে ওই নারীর প্রাক্তন স্বামী গিয়াস উদ্দিন বাঁচাতে এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা তাকেও মেরে আহত করে। স্থানিয় দোকানদারগণ অসুস্থ তাসলিামাকে বাড়ী পৌছে দেয়। পরদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভোলার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান হয়।
ভুক্তভোগী তাসলিমা অভিযোগ করেন, আমি জমি বিক্রির টাকার জন্য দোকানে গেলে ভেদুরিয়ার ১২ তারিখ সংলগ্ন আব্দুল খালেক এর পুত্র বাবুল (৫০) ও মাইনুদ্দিন(৩৫) আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকার করায় তারা আমাকে খোলা বাজারে লোক ভর্তি মানুষের সামনে শারীরিক নির্যাতন ও দোকানের ঢাসা দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করে। আমার অবস্থার অবনতি হলে কে বা কাহারা আমাকে বাড়ী পৌছে দেয় আমার জানা নাই। বর্তমানে আমি ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হই। সেখানেও আমাকে মেরে ফেলার জন্য টানা হিচরে করে। পরে রোগীর আত্বীয় স্বজনরা আমাকে রক্ষা করে।
এই ঘটনায় ব্যাবসায়ি বাবুল মাষ্টার জানান, ঘটনা আমার দোকানেই হয়েছে। মহিলাকে বাবুল ও মাইনুদ্দিন অন্যায় ভাবে নির্যাতন করে আহত করেছে। পরে মহিলার প্রাক্তন স্বামী গিয়াসউদ্দিন তাকে বাচানোর চেষ্টা করলে তাকেও মেরে আহত করে। এক পর্যায়ে তাসলিমাকে বাজারের কিছু লোকজন অজ্ঞান অবস্থায় বাড়ী নিয়ে যায়।