মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ৯ বছরের শিশুকে শারীরিক নির্যাতন।। টাকার বিনিময়ে মুক্তি

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশার ৪নং ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী বাবা আবুল হোসেনের ৯ বছরের শিশু সোহেলকে প্রতিবেশী রফিক পালওয়ানের কবুতর চুরির ঘটনার মিথ্যে অপবাদ দিয়ে পানের বরজ থেকে ধরে এনে মারধর করেন স্থানীয় নুরু মৃধা, নাসির ফকির, মালেক মৃধা, হুমায়ুন ও নাহিদ সহ একটি গ্রাম্য শক্তিশালী বাহিনী। ইতিপূর্বে এ বাহিনীর সদস্যরা রফাধফার মাধ্যমে অর্থ বানিজ্যের দায়ে দির্ঘদিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পান। জামিনে এসে তারা এহেন অপকর্মে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় সুশিল সমাজের বক্তব্য এ বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় কোন কাজকর্ম বা ব্যাবসা বানিজ্য করেন না তাদের আয়ের উৎস কি? কোথায় কি আয় করে এভাবে রাজকীয় হালতে চলা ফেরা করেন সে দিকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি এখন সময়ের দাবি।

এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী আবুল বলেন আমার ৯ বছরের শিশু সোহেলকে নাসির, নুরু, মালেক ও হুমায়ুন পানের বরজ থেকে ডেকে এনে ক্লোজার বাজারে অভিনব কায়দায় মারতে থাকে, কেন মারতে থাকেন জানতে চাইলে তারা আমাকে বলেন তোর ছেলে কবুতর চুরি করছে টাকা দিলে তোর ছেলেকে ছেরে দেব না হয় পুলিশের কাছে দিয়ে চালান করাব। উপায় না পেয়ে আমি টাকা দেবার কথা স্বীকার করলে আমার ছেলেকে তারা মুক্তি দেয়। অতঃপর গতকাল ৮/৭/২০২০ তাং সন্দ্যায় ক্লোজার বাজারের ব্যাবসায়ী বেলাল মেকারের কাছ থেকে টাকা সুদে গ্রহণ করে তার দোকানে বসেই নুরু মৃধার নিকট মুক্তিপনের টাকা দেই বলে জানান প্রতিবন্ধী আবুল। টাকা না দিলে কি হতো? এমন প্রশ্নে আবুল বলেন আমি টাকা না দিলে ওরা আমাকেও যেকোন মিথ্যা অপবাদে মারধর করে মেরে ফেলার মত ঘটনা ঘটাতে মোটেও দ্বিধা করতেন না।এমন ঘটনা তারা পুর্বে আরো ঘটিয়ে জেল খেটে আসছে, মুক্তি পেয়ে এসে আরো বেশি করে। এ দিকে ঐ বাহিনীর সেকন্ড ইন কমান্ড অভিযুক্ত নাসির ফকির মুঠোফোনে বলেন কবুতর চুরির ঘটনা ঘটেছে এবং প্রকৃত চোর এর সাথে এ ছেলের সম্পর্ক আছে বলেই তাকে ধরা হয়েছে এবং মারধর করে ছেরে দেয়া হয়েছে। তবে মুক্তিপনের টাকার বিষয়ে আমি জানিনা নুরুকে জিজ্ঞাসা করে পরে আপনাকে বলতে পারবো। অপর দিকে কবুতরের মালিক রফিক পালোয়ান বলেন আমার চুরি হওয়া ৪টি কবুতর পেটুয়া মালেকের ভাইয়ের বেটা বাবলুর কাছে পাওয়া গেছে। প্রতিবন্দি আবুলের ছেলে সোহেল কে মারধরের বিষয় ও তার কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে সত্য বলেও জানান রফিক।আদায়কৃত টাকার আপনি কত পেয়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রফিক বলেন আমাকে নাসির ফকির টাকা সাধছে কিন্তু আমি সেই টাকা গ্রহন করিনাই। নাসির টাকা কি করছে তা আমি জানিনা তবে প্রতিবন্দি আবুলের থেকে টাকা আদায় করা উচিৎ হয়নি।

এ বিষয়ে ঐ ওয়ার্ডের ইউ,পি,সদস্য ইব্রাহিম বলেন বিষয়টি লোক মরফত জানতে পেরেছি কিন্তু প্রতিবন্ধী আবুল অভিযুক্তদের দাপটের ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে তবে ইতিপূর্বে অভিযুক্তরা এসব অপরাধি কৃতকর্মে একাধিকবার কারাভোগ করেছেন জামিনে মুক্তিপেয়ে এসে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন।

এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এনায়েত হোসেন বলেন অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।