পালিয়ে গেলেন মুলহোতা ফরিদ সরদার

ইলিশায় মেম্বারের ঘর থেকে আটকৃত জুুয়ারীদের কারাদণ্ড

ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার ফরিদা বেগম রুমা’র ঘর থেকে আটকৃত ৫ জুয়ারী কে ৭ দিন করে জেল এবং ১শ টাকা করে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার দুপুরে ভোলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই রায় দিয়েছেন।
আটকৃতরা হলেন ইলিশা ৪ নং ওয়ার্ডের রাজ্জাক ভুলাই এর ছেলে ইউসুফ ভুলাই, ১নং ওয়ার্ডের অলি উল্লাহ্ মুন্সির ছেলে কোস্টর্গাডের মাঝি ইউসুফ,  ৬নং ওয়ার্ডের লাল মিয়া জমাদারের ছেলে হারুন, ১ নং ওয়ার্ডের আক্তার ও কামাল।
পুলিশ জানায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইলিশা ফাঁড়ি ইনচার্জ রতন কুমার শীল, এ এস আই সুজন ও মাইনুলসহ পুলিশের একটি টিম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জংশনস্থ মোনতাজ সরদার বাড়ীর মহিলা মেম্বারের এর স্বামী ফরিদের নেতৃত্বে জুয়ার আসর চলছে খবর শুনে অভিযান চালিয়ে ৫ জুয়ারী কে আটক করলেও মুলহোতা ফরিদ সরদার পালিয়ে গেছে।
এদিকে ইলিশার চিহ্নিত জুয়ারীদের আটক করায় পুলিশ কে স্বাগত জানিয়েছে ইলিশার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, যে বাড়ীতে দুইজন জনপ্রতিনিধি এবং একজনের নেতৃত্বেই চলে জুয়ার আসর, তারা কিসের জনপ্রতিনিধি?  সমাজ এদের কাছে কি শিখবে?  ক্ষমতাধর হওয়ায় কেউই দীর্ঘদিন মুখ খোলার সাহস পায়নি।
একজন জনপ্রতিনিধিদের স্বামীর নেতৃত্বে এবং আরেক প্যানেল চেয়ারম্যান এর বাড়ীতে কি ভাবে জুয়ার আসর হয়?  এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের, অচিরেই এদের মত জনপ্রতিনিধিদের বহিস্কারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী এবং এই অসাধু জনপ্রতিনিধিদের লাগাম টেনে জননেত্রী শেখ হাসিনার অপরাধ ও দূর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলতে হলে এদের বিরুদ্ধে দলীয় এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তারা।
ইলিশা ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহাজান বেপারী বলেন, আমার রক্তের কেউ যদি জড়িত হয় এই অবৈধ কাজে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।
চেয়ারম্যান হাছনাইন আহমেদ হাছান মিয়া বলেন, জুয়া মাদক বন্ধের জন্য গত কয়েক দিন আগেও পরিষদে মিটিং করেছি, জুয়ারী যেই হোক কোন আপস নেই, জুয়া মাদকমুক্ত ইলিশা হবে, আমি ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ কে ও বলে দিয়েছি, জুয়া মাদকসহ সকল অপরাধীদের আটকের জন্য, আমার যে কোন সহযোগীতা চাইবে আমি করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।