ভোলার চরফ্যাশনে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
ভোলার চরফ্যাশনে বিষাক্ত সাপের কামড়ে প্রিয়সী দাস (৩৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে চরফ্যাশন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের জামিলি কুমার দাস বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই নারী চরফ্যাশন বাজারের ব্যবসায়ী সুভাষ দাসের স্ত্রী।
মৃত প্রিয়সির স্বামী সুভাষ দাস জানান, তার স্ত্রী বাসায় বিকাল ৪টার দিকে পুরনো সেলফ থেকে কাগজপত্র নামাতে গেলে প্রিয়সি দাসকে সাপে কামড় দেয় ৷
প্রথমে সাপের কামড় সন্দেহ হয়নি ৷ পরে বমি করতে দেখে ক্ষতস্থানের পাশে শক্ত করে বেঁধে স্হানীয়ভাবে ওজা খনকার দিয়ে কাটাছেঁড়া বা ঝাড়ফুঁক দেওয়া হয় ৷ এরপরে ঐ স্হানে তল্লাসী করলে একটি পেচানো সাপ দেখতে পাই। তারা রাতে সাপটি ধৃতকরে উঠানে মেরে ফেলে। পরে প্রিয়সির অবস্হা ক্রমে অবনতি হলে রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মেডিসিন প্রয়োগের করে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান আগেই সে মারা যায়। রাত সাড়ে ৯টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রিয়সিকে মৃত ঘোষণা করেন ৷তাদের পরিবারের দাবি হাসপাতালে সাপের কোন ভেকসিন নেই।অন্য ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে।
চরফ্যাসন হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মাহাবুব কবির বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ সাপের কামড় এর লক্ষণ বা উপসর্গগুলো সম্পর্কে ধারণা নেই, তাই সাপ না দেখে বিশ্বাস করতে পারেনা ৷ কেউ কেউ বুঝলেও সাধারনত কামড়ের স্থানের পাশে শক্ত করে কাপড় বা ফিতা দিয়ে বেঁধে রাখেন, চুষে বা কেটে বিষ বের করে আনার চেষ্টা, ঝাড়ফুঁক, তাবিজ, পানি পড়া ইত্যাদি করে বিষ নামানোর চেষ্টা করে যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসায় নিষেধ ৷ এসকল বিষয় পরিহার করে সাপে কামড় দিলে দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে ৷সময়মত তারা রোগিকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তারা তাকে বাচাঁতে চেস্টা করতে পারতেন। উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে এধরনের অ্যান্টিভেনম সরবরাহ নেই বললেই চলে ৷