সর্বশেষঃ

ভোলার লালমোহনে শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকিতে রেখে হা’মীমে পাঠদানের অভিযোগ

করোনা ভাইরাস হামারীতে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে কোমলমতি শিশুদের বাড়ি থেকে জোর করে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন ভোলার লালমোহনের বাণিজ্যিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হা-মীম রেসিঃ স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত ১০ দিন ধরে স্থানীয় প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে একাডেমিক ভবনে ও হা-মীমের আশপাশের বাসাতে রেখে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চলানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

সুত্রমতে, করোনা ভাইরাসের কারনে দেশে আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সে নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিচালক রুহুল আমিন নিজের ব্যাবসায়িক মুনাফা ধরে রাখতে অভিভাবকদের ভুলভাল বুঝিয়ে আরও অতিরিক্ত ফ্রী ধার্য করে কোমলমতি ছেলেমেয়েদের কে প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ও আশপাশের বাসায় রেখে পাঠদান করিয়ে প্রতিনিয়ত তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিভাবকরা জানান, তাদের সন্তানদেরকে এক প্রকার জোর করে স্কুলে নিয়ে পাঠদানের জন্য বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি গত মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাসের তাদের সন্তানদেরকে পড়াশুনা না করিয়ে বেতন আদায় করে নিয়েছেন পরিচালক রুহুল আমিন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোল রেখে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ও তার পরিবার। এ বিষয়ে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসরের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।
এ বিষয়ে হা’মীমের পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা উদ্বেশ্যে প্রনোদিত। আমি সরকারি নির্দেশনা মেনেই স্কুল পরিচালনা করছি।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে তিনি বলনে, এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে আসে নাই, যদি কোন অভিযোগ আসে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেব।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।