তজুমদ্দিনে যৌনহয়রানি থেকে বাঁচতে কিশোরীর মেঘনায় ঝাঁপ
যৌন হয়রানি থেকে বাঁচতে লঞ্চ থেকে মেঘনায় ঝাঁপ দেন এক কিশোরী। এ কিশোরীর বয়স ১৬। ঢাকা আসার পথে কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চের স্টাফরা যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। শনিবার (৪ জুলাই) ভোলার তজুমদ্দিন উপজলোর বেতুয়া নৌরুটে এ ঘটনা ঘটে। দূর থেকে তার আর্তচিৎকার শুনে জেলেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে র্ভতি করে।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ একটি লাইফজ্যাকেট ফেলে কিশোরীকে উদ্ধার না করেই চলে যায় ঢাকার উদ্ধেশ্যে। পরে নদীতে মাছ ধরার ট্রলারের মাঝিরা কিশোরীকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে ওই কিশোরী তজুমদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে উপজেলার বিচ্ছিন্ন তেলিয়ার চরের মো. কবিরের মেয়ে।
হাসপাতালে ভর্তি কিশোরী বলেন, কাজের সন্ধানে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তজুমদ্দিন সুইজ ঘাট থেকে কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চে ওঠেন। লঞ্চে উঠার পর লঞ্চের স্টাফরা ওই কিশোরীকে বিভিন্ন মাধ্যমে যৌন হয়রানি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে কিশোরীকে তাদের সঙ্গে কেবিনে রাত্রি যাপন করতে টানাটানি করলে নিজেকে রক্ষার্থে সে নদীতে ঝাঁপ দেয় বলে জানায়।
কিশোরী আরও জানায়, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করতে একটি লাইফজ্যাকেট ফেললেও পানির স্রোতে সে ধরতে পারেনি। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধারে অন্য কোনো ব্যবস্থা না করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায় লঞ্চটি। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর জেলেরা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করান।
কিশোরীকে উদ্ধার করা নৌকার জেলে রায়হান বলেন, সন্ধার সময় আমরা নদীতে মাছ ধরার জন্য নৌকা প্রস্তুত করছিলাম। হঠাৎ নদীর মাঝে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনি। ডাক শুনে সেখানে আমরা যাই। উদ্ধার করে দেখি এক তরুণী। পরে তাকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করাই।
লঞ্চের সুপারভাইজার মো. রুবেল জানান, আমি লঞ্চের উপরে ছিলাম। পরে শুনছি লঞ্চ থেকে একজন মহিলা পানিতে ঝাঁপ দিয়েছে। তাকে উদ্ধারের জন্য আমরা একটি বয়া ফেলছি। সে বয়া ধরতে পারেনি। আমরা ঢাকায় চলে যাই। পরে কী হয়েছে জানি না।
তজুমদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলছে, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।