সর্বশেষঃ

মেঘনার পানি বৃদ্ধিতে প্লাবতি হওয়ায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে ৬ঘন্টা ॥ দুর্ভোগ চরমে

উজানী ঢল এর ফলে ভোলার মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইলিশা ফেরিঘাট প্লাবিত হওয়ায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে। বন্ধ রাখতে হচ্ছে ৬ঘন্টা ফেরি চলাচল। ফলে চরম দুর্ভোগে পরছে এই রুট ব্যবহারকারীরা। দ্রুত একটি হাই ওয়াটার ঘাটের পন্টুন দেয়ার দাবী ভুক্তভোগীদের।
সুত্রে জানা গেছে, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুম আসলে দক্ষিণাঞ্চলীয় ২১জেলার মানুষের জনপ্রিয় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটটির ফেরি চলাচল চরম ভাবে ব্যহত হয়। একটি হাই-ওয়াটার ঘাটের পন্টুন না থাকার কারনে। মেঘনা নদীর পানিতে এমন ভাবে ঘাটের রাস্তা ঢুবে রয়েছে যা দেখে বুঝার কোন উপায় থাকে না,যে এটি কোন ফেরির গ্যাংওয়ের রাস্তা। অথচ একটি হাই-ওয়াটার ফেরিঘাট থাকলেও শুধু মাত্র একটি পন্টুনের অভাবে এভাবেই এই রুটটি বন্ধ থাকে। ২৪ঘন্টায় ৬ঘন্টা বন্ধ রাখতে হচ্ছে এই রুটের ফেরি চলাচল। যার ফলে ঘাটের দুই পাড়ে আটকা পড়েছে অন্তত ৪ শতাধিক গাড়ী। যে কারনে চরম দুভোর্গে এই রুট ব্যবহারকারীরা। ৫/৬দিন ধরে আটকা পড়ে রয়েছে জ্বালানী তেলসহ কাঁচা মালের গাড়ীগুলো। চরম ক্ষোভ এসব চালকদের। রয়েছে ঠিকমত ফেরি না চলাচল অভিযোগও।
কাঁচামাল নিয়ে ঢাকামুখী ট্রাক চালক মোঃ আতাহার আলী বলেন, ৩দিন ধরে আটকে আছি ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে। ফেরিঘাট মেঘনা নদীর পানিতে প্লাবিত থাকায় ফেরি নিয়মিত চলতে না পারায় আটকা পড়ে আছি। চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন, শাহাবাজপুর গ্যাস ফিল্ডের তেল পরিবহনকারী লড়ির চালকরাও। ৫দিন ধরে আটকা পড়ে থাকায় চরম হয়রানীর স্বিকারের কথা জানালেন তারা। চট্টগ্রামগামী বাস যাত্রীরা কখন গিয়ে পৌছবে তার নইে কোন নিশ্চিয়তা। হতাশা ব্যক্ত করলেন দৌলতখান, লালমোহন, বাংলাবাজার ও চরফ্যাশন থেকে আশা একাধকি যাত্রীরা। সকালে এসে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থাকার পরেও ফেরিতে উঠতে না পেওে বল্লেন,রাত কটায় ফেরি উঠতে পারবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। চট্টগ্রামে পৌছাতো পরের বিষয়।
খুলনা এবং বরিশাল বিভাগসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় ২১ জেলার মানুষ ও যানবাহন চালকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই রুট-টি। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, সিলেট, ফেনি আর কুমিল্লা যেতে কিংবা চট্রগ্রামসহ ঐসব অঞ্চল থেকে পায়রা বন্দর আসতে খুবই কম সময় লাগে এই রুটে চালচলে। অথচ এখন ভোলার যাত্রীরা বন্দরনগরী চট্রগ্রাম যেতে যেখানে সময় লাগার কথা ৭/৮ঘন্টা সেখানে এখন সময় লাগছে ২২ থেকে ২৪ঘন্টা। তাও অনিশ্চিত। জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে চলাচল করতে হচ্ছে রুটের চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের। সকালে ফেরিঘাটে এসে ফেরি না পেয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে রাত ৮থেকে ৯টা পর্যন্ত বলে অভিযোগ বাস যাত্রীদের।
এ বিষয় ফেরির ঘাট ব্যবস্থাপক কেএম এমরান বলেন, ফেরির গ্যাংওয়েসহ রাস্তা মেঘনা নদীর পানিতে ডুবে থাকায় ৬ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবে ফেরি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। অথচ হাই-ওয়াটার ঘাট থাকলেও শুধু একটি পন্টুনের অভাবে ফেরির জোয়ারের সময় ফেরির লোড-আনলোড করা সম্ভব হচ্ছে না। চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। যে কারনে পারাপারের অপেক্ষায় দুই পাড়ে অন্তত ৪শতাধিক গাড়ী।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।