ভোলার পশ্চিম ইলিশায় এতিম কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা।। চেয়ারম্যানের বাড়ীতে লম্পট ছাড়াই রফাদফা

অভিযুক্ত লম্পট এরশাদ। ফাইল ছবি

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালেরহাট এলাকায় এতিম কাজের মেয়ে কে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে স্থানীয় এরশাদ নামের এক লম্পট।
গত ২৯ই জুন সন্ধ্যা ৭ টায় মালেরহাট সংলগ্ন এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত লম্পট ওই এলাকার চান্দু তালুকদারের ছেলে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় এতিম গরীব শিশুর মা ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দিলে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন এবং মেম্বার কামাল হোসেনসহ অভিযোগের পড়ে মেয়ের মা কে চেয়ারম্যান এর বাসায় নিয়ে ৩০ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে রফাদফা করে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
গৃহপরিচারিকা মা বলেন, আমি গরীব মানুষ, স্বামী নাই দুই মেয়ে কে নিয়ে কোন রকম মানুষের বাড়ীতে কাজ করে দিনযাপন করি।
এর মধ্যে আমার মা যে বাড়ীতে কাজ করে, তাদের প্রতিবেশী এরশাদ প্রায় আমার মেয়ে কে ডিস্টার্ব করে, আমি এরশাদের মাকে অভিযোগ দিলেও কোন লাভ হয়নি, সর্বশেষ গত পরশুদিন (২৯ই জুন) সন্ধ্যায় আমার মেয়ে দোকানে কলম আনতে যে বাড়ীতে কাজ করে তারা পাঠালে, দোকান থেকে আশার পথে এরশাদ মুখ চেপে বাগানের মধ্যে নিয়ে ধস্তাধস্তি করলে আমার মেয়ে তাকে খামস দিয়ে দৌড়ে বাড়ীতে গিয়ে উঠে।
এর পর মেয়ের কাছে শুনে আমি এরশাদের বাড়ীতে গেলে তারা আরো আমাকে নানান কথা বললে আমি মেম্বার কে জানালে, মেম্বারসহ এলাকার মানুষ রাতভর সমাধান করার চেষ্টা করে এক বার বলে ১ হাজার টাকা দিবে আবার বলে ২ হাজার টাকা দিবে পরে ১০ হাজার টাকা দিবে বলছে, এর পর আমি কোন সুষ্ঠু সমাধান না পেয়ে ইলিশা ফাঁড়িতে অভিযোগ দিয়েছি।
আজ সকালে চেয়ারম্যান তাদের বাসায় নিয়ে আমাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বলছে তুমি এই বার যাও, এখন আমরা গরীব মানুষ, এলাকায় থাকতে হবে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে আবার কি সমস্যা হয় তবে টাকা দেওয়ার সময় অভিযুক্ত লম্পট সেখানে ছিলো না এবং টাকা দিয়েই সমাধান করে দিয়েছে, ছেলের কোন শাস্তি হয়নি।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত লম্পটের বক্তব্য নিতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় মেম্বার কামাল হোসেন বলেন, মুখ চেপে ধরেছে ঠিক আছে তবে আমরা চেয়ারম্যানসহ একটা সমাধান করেছি ৩০ হাজার টাকা।
চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন মিয়া বলেন, আরে এগুলো হলো টুকটাক বিষয়, মাইয়া হইলো এক্কারে গুড়া, বইসা কইসি মিলতাল কইরা দিমু তবে সমাধান হইছে সেটা তিনি অস্বীকার করলেও মেম্বার স্বীকার করেছেন।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শ্রী রতন শীল বলেন, বিষয়টি শুনেছি কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবারটি অভিযোগ দিবে বলে চলে গেছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।