সর্বশেষঃ

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাস

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। মঙ্গলবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর পর সংসদে উপস্থিত সবাই টেবিল চাপড়ে বাজেট ও অর্থমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বুধবার ১ জুলাই থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে।

সংসদে এবার ৪২১টি ছাঁটাই প্রস্তাব আসে। দেশের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৯টি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং বিএনপির ৯ সংসদ সদস্য এই ছাঁটাই প্রস্তাব দিয়েছেন।

যেসব সংসদ সদস্য ছাঁটাই প্রস্তাব দিয়েছেন, তারা হলেন- জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, ফখরুল ইমাম, লিয়াকত হোসেন খোকা, মুজিবুর রহমান (চুন্নু) ও রওশন আরা মান্নান। বিএনপির হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা।

সংসদের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, এসব দাবির মধ্যে সময় বিবেচনা করে দুই-তিনটির ক্ষেত্রে আলোচনার কথা বলেন। এ ক্ষেত্রে তিনি আইন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যের প্রস্তাব পেয়েছেন, এ দুটি মন্ত্রণালয়ের দাবির বিপরীতে ৯টি করে ছাঁটাই প্রস্তাব রয়েছে।

সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর দীর্ঘ আলোচনার ইতিহাস থাকলেও এবার আলোচনা হয়েছে মাত্র দুদিন।

গত ১১ জুন সংসদে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার বাজেট অধিবেশন ছিল অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে ভিন্ন।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশের পর পুরো অধিবেশনজুড়ে এর ওপর আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। তবে এবার প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা হয়েছে খুব সীমিত আকারে, যা দেশের সংসদীয় ইতিহাসে রেকর্ড।

এবার সম্পূরক ও মূল বাজেটের ওপর সব মিলিয়ে পাঁচ ঘণ্টার মতো আলোচনা হয়েছে।

করোনাভাইরাস সংকটে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবারের বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় খুব বেশি না বাড়িয়ে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা ধরা হয়েছে, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ৬.২৭ শতাংশ বেশি।

এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা, যা নিয়মানুযায়ী আগেই অনুমোদন করা হয়েছে।

এবার পরিচালন ব্যয় (ঋণ, অগ্রিম ও দেনা পরিশোধ, খাদ্য হিসাব ও কাঠামোগত সমন্বয় বাদে) ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি।

এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধেই যাবে, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ১৯ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী কামাল আশা করছেন, নতুন অর্থবছরের সম্ভাব্য ব্যয়ের ৬৬ শতাংশ তিনি রাজস্ব খাত থেকে পাবেন। তার প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এই অঙ্ক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের ৮.৫ শতাংশ বেশি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।