সংবাদ প্রকাশের পর রাজাপুরের ধ্বসে পড়া বেড়ী পরিদর্শন করলো পানি উন্নয়ন বোর্ড

ভোলার রাজাপুরের বেড়ী বাধ নিয়ে গত শুক্রবার ভোলার বাণীতে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পর ভোলার রাজাপুরে ধ্বসে পড়া বেড়ী পরিদর্শণে যায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। রবিবার তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান।
সরেজমিন রাজাপুরের উত্তর প্রান্ত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বেড়ী বাধটি বেশ পুরনো দেখতে পান। বেড়ী বাঁধটি নির্মানের প্রাক্কালে বেড়ীর পাশের ডোবাটি দখল করেন স্থানিয় প্রভাবশালী কাশেম বয়াতি। তৎকালিন সময়ে বেড়ীর পাশেই গড়ে উঠে এখানকার দারগাখাল নামক গ্রাম্য বাজারটি। এ বাজারের পিছনেই রয়েছে সরকারি এই ডোবা। ডোবা থেকে ধাপে ধাপে কাশেম বয়াতি নামক প্রভাবশালী এক ব্যাক্তি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলন করে রমরমা বানিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় জামাল, আলম, নাসির ও মন্নান ফরাজিসহ বাজারের সদস্যরা বলেন, সম্পৃতি কাশেম বয়াতি ঐ ডোবার থেকে মোটা অংকের টাকার মাছ বিক্রি করেছেন বলে জানান তারা। মাছ ধরতে এ ডোবাটির পানি সেচ করলে ধ্বসে পড়তে শুরু করে বেড়ীবাঁধ সহ ডোবাটির চতুর্পাশ। ধ্বসে পড়ার কারনে ঝুকিপূর্ন হয় বেড়ীবাঁধ ও দারগাখাল বাজার এমনটি জানান বাজার কমিটির ব্যাবশায়ী সদস্যরা। এ বিষয়ে স্থানিয়রা বেড়ীবাঁধটি ও বাজার ধ্বসে পড়া থেকে রক্ষা পাবার জন্য পাউবো ভোলা ডিভিশন-১ এ লিখিত আবেদনের মাধ্যমে অবগত করেন বলেও জানান বাজার কমিটির সদস্য জামাল লাহাড়ি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাশেম বয়াতির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মাছ আমি বিক্রি করেছি, কিন্তু তারা মাছ ধরতে গিয়ে অনিচ্ছা বসত এহেন ক্ষতিসাধন হয়েছে। পাড় ভেঙ্গে পরায় আমার বেশি ক্ষতি হয়েছে, আমার গাছ ভেঙ্গে পরেছে। ডেবাটি আপনার নাকি সরকারী এমন প্রশ্নের জবাবে কাশেম বয়াতি বলেন, আমি দির্ঘ ২৫ বছর যাবৎ এ ডোবাটি ভোগ দখলে আছি, ইতিমধ্যে ডোবাটির প্রতি একটি মহলের লোভ পরেছে আমার থেকে ডোবা দখলে নেবার অপচেষ্টা চালাচ্ছে ঐ মহলটি। বর্তমানে ডোবাটি সাফ কবলা মূলে আঃ রব চোকদার গংদের নিকট হইতে ক্রয় করে নিয়েছেন বলে জানান কাশেম।
এদিকে রাজাপুরের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মিজানুর রহমান বলেন, বাজার কমিটি ও স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছে। তবে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে পানিসেচ করে কাশেম বয়াতি মাছ ধরা কিংবা বিক্রি করা ঠিক হয়নি। মাছ ধরার পরে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে পাড় ধ্বসে পড়েছে। তবে আপাদত বেড়ী বাধটি শংকামুক্ত। এ বিষয়ে পাউবো ভোলা-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলি বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টিম সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকারী ভোলা পওর ভিবাগ-১ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলি এ,আর,আল-আমিন বলেন, আমরা সরেজমিনে রাজাপুরে ড্রেজিং এর কারনে ঝুকিপুর্ন বেড়ীবাঁধ পরিদর্শন করে দখলকার কাশেম বয়াতিকে তার বৈধতার কোন দস্তাবেজ (যদি থাকে) নিয়ে ভোলা পওর বিভাগ ভোলা-১ এ আসতে বলেছি।