ভোলায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে টাকাসহ স্বর্নালংকার ছিনতাই, আটক-১

ভোলার বাংলাবাজারে দ্বীপরাজ গোল্ড হাউজের মালিক প্রবীর চন্দ্র ও তার ভাই দ্বীপরাজ মেডিসিন ফার্মেসীর মালিক সজীব চন্দ্র ডাক্তার ছিনতাইকারীদের হামলার স্বীকার হয়েছেন।

জানা যায় শনিবার (২০ জুন) রাতে প্রতিদিনের মতো দুইভাই একই সাথে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় ছিনতাইয়ের স্বীকার হন। এসময় তাদের পথ রোধ করে এলোপাথারি কুপিয়ে নগদ টাকাসহ স্বর্ণ ছিনতাই করে স্থানীয় ছিনতাইকারীরা। উক্ত হামলার ঘটনায় দুজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় নিয়ে আসলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রবীর চন্দ্রকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। অপরজন নিহত প্রবীরের ছোটভাই সজীব ডাক্তার চিকিৎসাদীন রয়েছেন।

আহত সজীব চন্দ্র ডাক্তার জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে দুইভাই বাইকে ফেরার পথে রাস্তায় ওতপেতে থাকা ৪ থেকে ৫ জন জিআই তার দিয়ে তাদের গাড়ী গতিরোধ করেন এবং রাস্তায় থাকা পাইপ ফেলে ব্যারিকেড দেয়। একপর্যায়ে দেশীয় ধারাল অস্ত্র দিয়ে দুইজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে নগদ চারলাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয় তারা।

এদিকে আহত সজীব চন্দ্রের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী মুমূর্ষু রক্তাক্ত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন বলে জানায়। সজীব আরো জানায় ছিনতাইকারীদের ৫ জনের মধ্যে তিনজনকে চিনতে পেরেছেন। এরা সবাই একই বাড়ির বাসিন্দা দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নে ৩ং ওয়ার্ডের সরোয়ার্দী শিকদার বাড়ির মোঃ হারেছ শিকদারের ছেলে শাহাবুদ্দিন, বজলুর রহমান এর ছেলে মোঃ বিল্লাল, সেলিম মেম্বারের ছেলে শাকিল সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুইজন। এদিকে এলাকাবাসী প্রবীরের মৃত্যুর খবর শুনে উক্ত ঘটনার ছিনতাইয়ের জড়িত অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিনকে আটককরে তাহাকে মারধর করলে, রক্তাক্ত অবস্থায় ছিনতাইকারী চিকিৎসা নিতে আসলে ৫ জনের একজনকে আটক করে ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, সেলিম মেম্বারদের পরিবার টা এতোই দুর্ধর্ষ যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও এদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ ছিলো, পরে টিপু নামের এক ব্যাক্তি সেলিম মেম্বারের পায়ের রগ কেটে দেয়। তার ছেলে শাকিল ও আটক শাহাবুদ্দিন সহ তাদের একটা গ্রুপ আছে তাদের কাজ হলো চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি এমনকি ধর্ষণের সাথেও জড়িত তারা।

এসময় তারা আরো জানান এই খুনের যদি বিচার না হয় তবে হিন্দু তো ভালো কথা আমরাও ওদের হাত থেকে বাঁচতে পারবোনা।

এঘটনার খবর শুনে ভোলা সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন। তিনি তার এক বক্তব্য বলেন, আমরা ঘটনার সাথে জড়িত প্রত্যেককে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি ইতোমধ্যে    একজনকে পুলিশ আটক করেছে বাকী অন্যন্য আস্বামীদের আটক করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।