সর্বশেষঃ

ভোলায় ভুয়া সংগঠনের নামে সরকারি অনুদান ॥ সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ

ভোলায় অস্তিত্বহীন সংগঠনের নামে সরকারি বরাদ্দ এনে আত্মসাতের পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এ ধরণের অস্তিত্বহীন ৬টি সংগঠনের নামে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুদান বরাদ্দ এনে গোপনে উত্তলনের প্রক্রিয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এ নিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ রয়েছে প্রতি বছর একটি অসাধু চক্র ঢাকায় বসে অস্তিত্বহীন বিভিন্ন সংগঠনের নামে সরকারি অনুদান বরাদ্দ এনে আত্মসাত করে। বঞ্চিত হয় প্রকৃত সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুন ভোলা জেলা প্রশাসকের সাধারণ সাখায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৬টি সংগঠনের নাম উল্লেখ করে অনুদান বরাদ্দের চিঠি আসে। ওই চিঠিতে ১৯-২০ অর্থ বছরের বরাদ্দপ্রাপ্ত সংগঠনগুলো হচ্ছে মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া ইউনিয়নের সারেগামা সংগীত নিকেতন ও একই এলাকার স্বরলিপি সংগীত শিক্ষা কেন্দ্র। বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর গ্রামের উদয়ন খেলাঘর, ওই উপজেলার বাথানবাড়ি গ্রামের সূর্যতরুন সাংস্কৃতিক সংঘ ও খায়েরহাট লক্ষ্মীপুর গ্রামের যুব সংস্কৃতি সংঘ। লালমোহন উপজেলার চরপাতা গ্রামের নবারূন সাংস্কৃতিক সংঘ।
লালমোহন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক জাসিম জনি জানান, এ ধরণের সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। একই কথা বলেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক রাজিব রতন দে। মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, মনপুরায় এমন কোন সংগঠনের অস্তিত্ব নেই।
ভোলা থিয়েটারের সভাপতি নাসির লিটন জানান, তারা সারা বছর জুড়ে মাঠে কাজ করেন, অথচ তাদের সংগঠন এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। অনুদানের জন্য কখন আবেদন করতে হয় ওই খবরও তারা পান না। ক্ষোভ জানিয়ে একই কথা জানান, সুরের ধারা সংগঠনের পরিচালক উত্তম ঘোষ, বিহঙ্গ সাহিত্য গোষ্টীর সভাপতি অমিতাভ অপু, জীবন পুরাণ আবৃত্তি সংগঠনের সম্পাদক শিল্পী মশিউর রহমান পিংকুসহ আরো অনেকে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।