সর্বশেষঃ

ভোলায় নতুন করে আরো ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত

ভোলায় দুই চিকিৎসক, তিন পুলিশ কর্মকর্তা, চার কোস্টগার্ড সদস্য ও দুই স্বাস্থ্যকর্মীসহ গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ২৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ জন, দৌলতখানে ৪ জন, বোরহানউদ্দিনে ৭ জন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় ৬ জন করে রয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ১১৬ জনে। আজ রবিবার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এসময় তিনি আরো জানান, নতুন আক্রান্ত ২৬ জন আইসোলেশনে রয়েছে। পাশাপাশি তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ জনের একজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন চরসামাইয়া ইউনিয়নের চরসিফলী গ্রামের এক নারী ও একজন পরানগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। অপরদিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৭ জনের মধ্যে একজন চিকিৎসক, একজন নারী স্বাস্থ্যকর্মী, উত্তর বাস স্ট্যান্ড এলাকার দুই নারী এনজিও কর্মী ও ৩ জন পৌর ৩ নং, ৪ নং এবং ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দৌলতখান উপজেলায় ৪ জনের মধ্যে এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং এক নারীসহ ৩ জন পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। লালমোহন উপজেলায় ৬ জনের মধ্যে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা, ৪ কোস্টগার্ড সদস্য এবং একজন পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এছাড়া চরফ্যাশন উপজেলায় এক চিকিৎসক, এক পুলিশ কর্মকর্তা, একজন বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের স্টাফ এবং বাকি তিন জন পৌর ১ নং ও ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোলায় এ পর্যন্ত ১১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৪ জন। মৃত দু’জন বাদে বর্তমানে আক্রান্ত আছেন ৮০ জন। সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত ৪৩ জনের মধ্যে সুস্থ ১৩ জন। দৌলতখানে আক্রান্ত ৮ জনের মধ্যে সুস্থ ২ জন। বোরহানউদ্দিনে আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে সুস্থ ৩ জন। লালমোহনে আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে সুস্থ ২ জন। চরফ্যাশনে আক্রান্ত ২০ জনের মধ্যে সুস্থ ৪, মনপুরা উপজেলায় আক্রান্ত ৮ জনের মধ্যে সুস্থ ৭ এবং তজুমদ্দিন উপজেলায় আক্রান্ত ২ জনের মধ্যে সুস্থ ২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন করোনা আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং বাকিরা নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে হোম আইসোলেশনে আছেন। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত হয়ে লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে সিভির সার্জন কার্যালয় সূত্র আরো জানায়, এ পর্যন্ত ভোলা থেকে ২ হাজার ৬৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা ও বরিশাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। নমুনার রিপোর্ট এসেছে ২ হাজার ২১৭ জনের। এর মধ্যে ২ হাজার ১০১ জনের নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও ১১৬ জনের পজেটিভ আসে। এদিকে ৪১৫ জনের নমুনার রির্পোট এখনও অপেক্ষমান আছে। ফলে শনিবার কোন নমুনা পরীক্ষার জন্য বরিশাল বা ঢাকায় পাঠানো হয়নি । ভোলায় পিসিআর ল্যাব চালু না হওয়ায় রির্পোট পেতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।