সর্বশেষঃ

লালমোহনে জমি দখলের চেষ্টায় রড দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে উল্টো মিথ্যা মামলায় হয়রানী

ভোলার লালমোহনে জমিজমা বিরোধে নিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার দুর থেকে এসে সন্ত্রাসী ষ্টাইলে ৭০ বছরের ভোগ দখলীয় বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়ে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছেন শাহে আলম গংরা।
সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ফজলুর রহমান এর সাথে প্রায় ১ কিলোমিটার দুরের বাসিন্দা শাহে আলমের সাথে জায়গা জমি নিয়ে অনেক বছর যাবত বিরোধ চলে আসছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান ২ পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় শালিশগনের মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংশা করেন। চেয়ারম্যানের শালিশে শাহে আলম ০৮ (আট) শতাংশ জমি দেনা হন। কিন্তু শাহে আলম ০৮ (আট) শতাংশ জমি না দিয়ে উল্টো ফজলুর রহমানের বাড়ীতে গিয়ে জোড় পূর্বক জমি দাবী করে।
২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউছুপ এ ব্যাপারে একটি প্রত্যয়ণ পত্র দেন। যাতে উক্ত জমির বিষয়টি স্পষ্ট আকারে রেখা রয়েছে। এরপর ফজলুর চেয়ারম্যান কে জানিয়ে ভোলা আদালতে মামলা করে। মামলার পর থেকেই শাহে আলম বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি হুমকিসহ বাড়ীর গাছের সুপারি জোর করে নিয়ে যেত। ফজলুর রহমান তার ঘরের পিছনের জমিতে করাত দিয়ে বেড়া দিয়ে রাখে। গত ৩০ জুন ২০২০ সকাল ৮টায় হঠাৎ শাহে আলম ও আলমগীর মাষ্টারের এর নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী ফজলুর রহমানের বাড়ীতে এসে তার ঘরের সামনে দিয়ে বেড়া দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ফজলুর রহমান বাধা দিলে শাহে আলেমের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী ফজলুর রহমানকে রড় দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এতে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায় এবং প্রচন্ড রক্তক্ষরন হয়। ফজলুর রহমানকে বাঁচাতে তার মেঝ ছেলে এবং স্ত্রী আসলে তাদেরেকেও রড়দিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং মহিলার কাপড় চোপড় ছিড়িয়া শ্লীতাহানী করে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা তাদেরকে আহত করে ঘরের পিছনের করাত দিয়ে বেড়া দেয়া অংশে ভাংচুর চালায় এবং সেখানে থাকা টিনের তৈরী টয়লেট এর ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে। গুরুতর আহত ফজলুর রহমানকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করার পর লালমোহন হাসপাতালের ডাক্তার রোগীর আবস্থা খারাপ দেখে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করে। যার রেজি নং ৬৫৫৪/১১, ২২৩৩/৫, ২২৩২/৪।
এ ব্যাপারে ভোলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে গত ১জুন ২০২০ ইং তারিখে ১৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৩৫৪/৪২৭ দন্ড বিধিতে ফজলুর রহমানের স্ত্রী নুরজাহান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ফজলুর রহমানের স্ত্রী আদালতে মামলা করেছে শুনে লালমোহন থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন শাহে আলমের ছেলে আরিফুর রহমান জুয়েল। লালমোহন থানায় এজহারের পর লালমোহন থানা পুলিশ ফজলুর রহমানের বাড়ীতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ ফজলুর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসে ভোলা জেল হাজতে প্রেরণ করে। একজন হাত ভাংগা অসুস্থ রোগ কে গ্রেফতার করার জন্য এলাকা বাসীর মধ্যে একধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান শাহে আলম গংরা খুবই খারাপ লোক ও জুলুমবাজ ভূমিদস্যু। এরা এলাকায় দাঙ্গাবাজ নামে পরিচিত। যারা অন্যায় করেছে থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার না করে বরং অসুস্থ রোগীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল। এতে সাধারন মানুষজন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাবে এবং জুলুমবাজদের দ্বারা সাধারন জনগন নির্যাতনের স্বীকার হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।