উদ্ধোধনের অপেক্ষায় ভোলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব
ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে অবশেষে শীঘ্রই চালু হচ্ছে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব। আজ বৃহস্পতিবার পিসিআর ল্যাবের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মেশিন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হলেই ল্যাবটি চালু করা যাবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম থেকেই ভোলার মানুষের প্রাণের দাবি ছিল করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব চালু ও আইসিইউ বেড স্থাপন করার। এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে একটি পিসিআর ল্যাব, ভেন্টিলেটরসহ ১০টি আইসিইউ বেডের অনুমোদন দেয়। অনুমোদনের পর মাত্র ৫ দিনেই ল্যাবের নির্মান কাজ শেষ করে গনপূর্ত বিভাগ। গত পাঁচদিন একটানা কাজ করে গণপূর্ত বিভাগ ল্যাবের অবকাঠামো তৈরির কাজ শেষ করেছে। ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় স্থাপন করা হচ্ছে এই ল্যাবটি। এই ভবনের নীচ তলায় রয়েছে করোনা রোগীদের চিকিৎসারজন্য করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট ও ৩য় তলায় রয়েছে করোনা আইসোলেশন ইউনিট। ভবনে অনেক করোনা রোগী থাকার পরও অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে ল্যাবের অবকাঠামো নির্মাণের কাজটি মাত্র পাঁচ দিনে শেষ করা হয়। তবে আইসিইউ বেডের স্থাপনে আরও সময় লাগবে।
এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ বলেন “ভোলা-১ আসনের মাননীয় এমপি তোফায়েল আহমেদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ভোলাবাসী একটি পিসিআর ল্যাবের অনুমোদন পায়। অনুমোদন পাওয়ার পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে গণপূর্ত স্বাস্থ্য উইং এর প্রকৌশলীরা জরুরী বৈঠক করে ডিজাইন প্রস্তুত করেন এবং তা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেন। রাষ্ট্রের জরুরী প্রয়োজনে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ সব সময়ই নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছে এবং করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দুর্যোগের সময়েও এর ব্যতিক্রম হয় নাই।
তিনি আরো জানান, দুর্যোগের সময় কাজ করার বিষয়ে তারা প্রশিক্ষিত ও অভ্যস্ত। আরো জানা যায় গনপূর্ত অধিদপ্তরের রয়েছে সেক্টও ভিত্তিক বিশেষায়িত ইউনিট। স্বাস্থ্য স্থাপনা সমূহের নির্মাণ তদারকির জন্য রয়েছে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য উইং, দুইটি স্বতন্ত্র ডিজাইন ইউনিট। স্বাস্থ্য স্থাপনার একদল অভিজ্ঞ প্রকৌশলী থাকার কারণে স্থাপনা সমূহের ডিজাইন, প্ল্যানিং অত্যন্ত কম সময়ে ও সুবিন্যস্ত হওয়ার কারণে জেলা পর্যায়ের অফিস গুলোতে কাজ করতে সুবিধা হয়। এই পিসিআর ল্যাবটি স্থাপিত হলে করোনা ভাইরাস পরিক্ষার জন্য বরিশাল এ স্যাম্পল পাঠানোর বিড়ম্বনা দূর হবে।
এ বিষয়ে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন “ল্যাবের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ, এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগ দিন রাত কাজ করেছে। শীঘ্রই ল্যাব শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।” ল্যাবটি চালু হলে সহজে ও দ্রুততম সময়ে ভোলার মানুষ করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করাতে পারবে।