লালমোহনে সাংবাদিক ও অবসর সেনা সদস্যের জমি দখলের লালসায় ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি
ভোলার লালমোহনে সাংবাদিক ও অবসর সেনা সদস্যের ২৩ বছরের সিমানা পিলার তুলে ফেলে জমি দখলের লালসায় মেতে উঠেছেন পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের আ’লীগ সভাপতি। স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষনিক তিনি ওই ওয়ার্ড সভাপতিকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করেন এবং ঈদের পরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন।
অভিযোগ ও সরজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, ডেইলি অবজারভার, দৈনিক ইত্তেফাক ও তজুমদ্দিন প্রেসক্লাব সভাপতি রফিক সাদী এবং লালমোহন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা (অব.) সেনা সদস্য আবুল কাশেমের হাসপাতাল সংলগ্ন উত্তর পাশের মৌজা- মেহেরগঞ্জ, জে এল -১৭, খতিয়ান-১৭৩, দাগ-২৫১, এক একর ৪৪ শতক ১৯৯৫ সালে ক্রয়কৃত জমিনের দক্ষিণ অংশের ২৩ বছর আগের দেয়া সীমানা পিলার জোড়পূর্বক তুলে ফেলে দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের আ’লীগ সভাপতি ও ঠিকাদার শাহাদাৎ হোসেন ওরফে শাহাবুদ্দিন সাজু। শনিবার শাহাবুদ্দিন লোকজনসহ সীমানা পিলার তুলে নিয়ে কলাগাছ রোপন করে। এ সময় সংঘাত এড়ানোর উদ্দেশ্যে সাংবাদিক রফিক সাদী সরাসরি বাঁধা না দিয়ে স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে বিষয়টি অবহিত করেন। এমপি তাৎক্ষনিক গুরুত্বসহকারে লালমোহন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জসিম জনির নেতৃত্বে একটি সাংবাদিক টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শণে পাঠান। ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই ঠিকাদার শাহাবুদ্দিনকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করেন এবং ঈদের পরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন এমপি শাওন।
অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আবুল কাশেম জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে জমি কিনে সীমানা পিলার স্থাপন করে জরিপ পর্চা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ বসবাস করছি। আমার দক্ষিণ পাশে মাজেদ গংদের নিকট থেকে চলতি বছর শাহাবুদ্দিন ৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করে দখল নেয়। মাজেদ গং এবং আমার মধ্যবর্তী ২৩ বছর আগ থেকে সীমানা পিলার রয়েছে। শাহাবুদ্দিনের ক্রয় করা জমি ছাড়াও মাজেদ গংদের আরো প্রায় চার একর জমি অবশিষ্ট রয়েছে। শাহাবুদ্দিন ৩০ বছর আগের বিদ্ধমান সীমানা অনুযায়ী জমি না নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক অশান্ত পরিবেশ তৈরী করার জন্য প্রভাব খাটিয়ে দলবলসহ জোড়পূর্বক মধ্যবর্তী সীমানা পিলার তুলে ফেলে কলাগাছ রোপন করে আমার জমি দখলের নিলনকশা আঁকছেন।
সাংবাদিক রফিক সাদী জানান, ২০০৩ সালে ১২ শতক জমি কিনে ঘর নির্মান করে গাছগাছালি রোপন করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করছি। সম্প্রতি ঠিকাদার শাহাবুদ্দিন উদ্দেশ্যমূলক পরিবেশ অশান্ত করার পায়তারা করছেন। আমি সংঘাত এড়ানোর উদ্দেশ্যে ন্যায় বিচারের আশায় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে শাহাবুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমার ক্রয় করা জমি বুঝে নিতে পিলার তুলে ফেলা হয়েছে। মাজেদ গংদের পাশের আরো জমি রয়েছে সেখান থেকে না নিয়ে পুরানো সীমানা পিলার তুলে প্রতিবেশীর সাথে বিরোধ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য কি প্রশ্ন করলে বিষয়টি এড়িয়ে বলেন মাজেদ গংরা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে কাশেম গংদের কাছ থেকে জমি উদ্ধার করার জন্য। তাই আমি আগের সীমানা তুলে নতুন করে সীমানা করবো।