ভোলায় সদ্য ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতি হওয়া ভোলার বিচ্ছিন্ন এলাকা রাজাপুর ইউনিয়নের রামদাসপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪০ টি পরিবারের পাশে নগদ অর্থ নিয়ে নিজে সারাদিন বিতরণ করেছেন রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আবি আবদুল্লাহ টুনু চৌধুরীর সুযোগ্য উত্তরসূরি ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার গরীবের ডাক্তার নামে ভোলায় পরিচিতো গোলাম রাব্বি চৌধুরী।
শনিবার সারাদিন বিচ্ছিন্ন এলাকায় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে নিজ চোখে দেখে নিজের উদ্যােগে ৪০ টি পরিবারের মাঝে নগদ টাকা তুলে দিয়েছেন ডাক্তার গোলাম রাব্বি চৌধুরী সাক্ষর।
তার বাবা মরহুম আবি আবদুল্লাহ টুনু চৌধুরী ছিলেন রাজাপুরের মানুষের নয়নের মনি, তাদের যে কোন বিপদে আপদে সাথী ছিলেন টুনু চৌধুরী, এক কথায় রাজাপুরের মাটি ও মানুষের আপনজন কিন্তু তার মৃত্যুর পর আজ রামদাসপুরের বিপদমুখী মানুষ তাদের পাশে মরহুম টুনু চৌধুরীর যোগ্য উত্তরসূরি কে পেয়ে আজ তারা আনন্দিত, ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন আমাদের বিপদে এই ভাবে পাশে এসে দাঁড়াতেন টুনু চেয়ারম্যান আজ তার রুপ নিয়ে দাঁড়িয়েছে তারই উত্তরসূরি ডাক্তার গোলাম রাব্বি চৌধুরী সাক্ষর।
৮৯ বছরের এক বৃদ্ধ বলেন, প্রথম মনে করছি সরকারী অফিসারে টিয়া আনছে , কিন্তু দাড়ে আয় আরে পাজা করি দরি কইছে আমাগো টুনু চেয়ারম্যানের ছেলে সে, বয়স্ক বৃদ্ধ বুঝাতে চেয়েছে যে এই ভাবেই মরহুম টুনু চেয়ারম্যান আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে আর আজ ঠিক সেই ভাবেই তার ছেলে এসে দাঁড়িয়েছেন।
বিলকিস, সুরমা, নারগিস বলেন, টুনু চেয়ারম্যান সাহেব মারা যাওয়ার পর এই রামদাসপুরের খবর কেউ রাখেনি কিন্তু আজ মরহুম চেয়ারম্যান এর ছেলে একজন বড়মাপের ডাক্তার হয়েও আমাদের এই বিপদের সময় নগদ টাকা এনে নিজে ঘরে ঘরে দিয়ে গেছেন।
রামদাসপুরের মানুষ বলেন, আমরা দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামিন যেন মরহুম আবি আবদুল্লাহ টুনু চৌধুরী কে জান্নাতবাসী করেন এবং তার ছেলেসহ পরিবারের সবাই কে নেক হায়াত দান করেন।