জীবনের ডায়েরী থেকে গল্প সমগ্র : পর্ব-১১
ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন),
(গত সংখ্যার পর), বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে কবিতা পড়ার অনুমতি পেয়ে আমি পড়লাম।
হে স্বাধীনতা, তুমি আসবে বলে,
যুগ যুগ ধরে আমি তোমার পথ পানে চেয়ে থেকেছি।
নতুন পৃথিবীর দিক উন্মোচন করে আমি তোমার স্বপ্ন দেখেছি।
হে স্বাধীনতা তুমি আসবে বলে,
হে স্বাধীনতা তুমি আসবে বলে,
কত মা তার ছেলেকে হারাল
কত বোন হারালো ভাই,
কত কুমারী মেয়ে ইজ্জত হারাল
আমি আজ বলতে লজ্জা পাই।
হে স্বাধীনতা, তুমি আসবে বলে
কত শত মায়ের অশ্রু
বাতাসে শুকিয়ে আছে,
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
তোমারে পেয়েছি কাছে।
হে স্বাধীনতা, তুমি আসবে বলে।
হে স্বাধীনতা, তুমি আসবে বলে,
আমি কত শত মেয়েকে রাইফেল ট্রেনিং দিয়েছি।
তাদের আত্মরক্ষার তরে,
এরপর কত মুক্তিযোদ্ধা মেয়ে জন্ম নিল,
বাংলার ঘরে ঘরে
হে স্বাধীনতা, তুমি আসবে বলে।
হে স্বাধীনতা, তুমি আসবে বলে,
কত মনোরমা বীণা পানির
সিঁথির সিদুর মুছে গেল
কত ডাক্তার, মোক্তার, প্রফেসর, বুদ্ধিজীবীদের
বদ্ধভূমিতে নিয়ে চোখ বেঁধে হত্যা কর।
হে স্বাধীনতা, তুমি আসবে বলে।
হে স্বাধীনতা, তুমি আসবে বলে,
আমি বনে জঙ্গলে
পালিয়ে থেকেছি।
থানায়< মহকুমায়, আর্মির ভয়ে
আমি আত্মরক্ষা করেছি।
হে স্বাধীনতা, তুমি আসবে বলে।
হে স্বাধীনতা তুমি আসবে বলে,
আমি তোমার পথ পানে
চেয়ে থেকেছি
বাড়িঘর ছেড়ে, ছেলেমেয়ে ফেলেে
আমি মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছি
হে স্বাধীনতা, তুবি আসবে বলে।
কবিতাটি শুনে বঙ্গবন্ধু আবেগ প্রবণ হয়ে কেঁদে ফেললেন। পরম শ্রদ্ধায় ভালবাসায় আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, তুই ঠিকই লিখেছিস বোন, ঠিক লিখেছিস।
(চলবে————-)