সর্বশেষঃ

ঘূর্ণিঝড় আম্পান : উত্তাল মেঘনা, ভোলার উপকূল জুড়ে আতঙ্ক

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে এখনো উত্তাল রয়েছে ভোলার নদ-নদী। বিকেল থেকেই বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মেঘনার পানি। উপকূল জুড়ে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক-উৎকন্ঠায় রয়েছে সেখানকার বাসিন্দারা।

এদিকে, দিনভর জেলায় ১২.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ৫০-৬০ কিলোমিটার। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (২০ মে) রাত পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে বাসিন্দাদের দেওয়া হয়েছে খাবার। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জোয়ারে তলিয়ে গেছে ঢালচর, চর পাতিলা, মহাজনকান্দি ও চর নিজামসহ বেশ কিছু এলাকা। ওইসব এলাকায় এখনো পানি সরে যায়নি, নতুন করে আবারো জোয়ারে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট পিয়াস চন্দ্র দাস জানান, জেলার ২১টি দ্বীপচরসহ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় আনা হয়েছে। সব জেলে নৌকা ও মাছ ধরার ট্রলার নিরাপদ আশ্রয় চলে এসেছে। ঘাটে অবস্থান করছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার।

নদী উত্তাল থাকায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বেড়িবাঁধ। জেলার ৩৬৯ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে বেশ কিছু পয়েন্ট দিয়ে ধসে পড়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। তবে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত কোনো পয়েন্ট দিয়ে বাঁধের কোনো ক্ষতি হয়নি।

এদিকে, চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা এলাকায় দুপুরের দিকে ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

সাগর উপকূলে বাসিন্দা রহমান জানান, দুপুরের জোয়ারে যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে ওই সব পয়েন্ট থেকে এখনো পানি সরে যায়নি। সন্ধ্যার পর আবার নতুন করে জোয়ার আসতে শুরু করেছে। এতে আতঙ্কিত হয়েছে পড়েছেন অনেকেই।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।