শিবপুরে মেম্বারের ভাতিজা কর্তৃক প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণের শিকার

ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডে ১৫ বছরের এক প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষিত মেয়েটির পিতা মনির একজন ঝালমুড়ি  বিক্রেতা । তার পরিবার শিবপুর ইউনিয়নে বরফমিল এলাকায় থাকে।
এই ঘটনায় ধর্ষিত প্রতিবন্ধী মা সাজেদা  স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে উপযুক্ত বিচারের দাবি জানান।তবে এ ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসার কথা থাকলেও ধর্ষক  জাফর ক্ষমতাসীন হওয়ায় তার কোন সূরাহ হয়নি।
স্থানীয়রা জানান , বৃহস্পতিবার ভোররাতে ওই প্রতিবন্ধী মেয়েটি বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশেই  তার খালা বাড়ি যাওয়ার সময় দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক  ও ৫নং ওর্য়াডের রানিং ইউপি সদস্য  মোঃ মোস্তফা মেম্বার এর ভাতিজা ধর্ষক জাফরের(৩০) সাথে রাস্তায় দেখা হয়। পরে জাফর মেয়েটিকে মুখে গামছা বেঁধে বেড়ির কাছে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। এবং ধর্ষক জাফর পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় জাফরের গামছা ও গ্যাসলাইট ফেলে জায়। পরে স্থানীয়রা ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা দেন।
স্থানীয়রা আরো জানান  জাফর শুধু এই প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষন নয়  মেম্বারের ভাতিজা হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহারে এলাকায় ইফটিজিং,  মাদক ব্যবসা সহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন তিনি।
ধর্ষিতা মেয়ের মা সাজেদা বলেন,  আমার মেয়েটা প্রতিবন্ধী তারা বাবা বেকার মাঝে মাঝে ঝালমুড়ি বিক্রি করে দিন আনি দিন খাই। মেয়েটারে ভবিষ্যতে বিয়ে দিবো কেমনে তা নিয়া চিন্তায় ঘুম হয় না রাতে। তার পরে আবার আমার এই প্রতিবন্ধী মেয়েটার সর্বনাস করছে মেম্বারের ভাতিজা।  এখন কে করবো আমার মেয়েটারে বিয়া। আমি প্রশাসনের কাছে আমার মেয়ের ইজ্জত নষ্টকারির বিচার চাই। আমি মেম্বারের ভাতিজা জাফরের বিচার চাই যাতে আর কোন মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করতে না পারে।
এ বিষয়ে ধর্ষক জাফরের বাবা সিরাজের  সাথে মোবাইল ফোনে  যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি তবে ধর্ষকের চাচা মোস্তফা মেম্বার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন জাফরের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।