বাপ্তা সামাজিক সংগঠনের সদস্যদের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় চেয়ারম্যান বিপ্লব মোল্লা
অসহায়ত্বের পাশে আছি বাপ্তা বাসীর মুখে ফুটাবো হাসি এই স্লোগানকে সামনে রেখে একঝাক তরুনের সমন্বয়ে গড়ে উঠা বাপ্তা সমাজসেবা সংগঠনটির সদস্যরা তাদের ইউপি অভিভাবকের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ কালে বাপ্তা ইউনিয়নের বন্ধু নামে পরিচিত চেয়ারম্যন বিপ্লব মোল্লা আলাপচারিতার একফাকে বলেন সামাজিক সংগঠনগুলো সমাজের ইতিবাচক কাজে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে এবং সামাজিক সংগঠনের সদস্যরাই নির্লোভ মন মানসিকতা নিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া দরিদ্র মানুষদের তালিকা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো ভুমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে তারা ইউনিয়ন পরিষদ কে সহযোগিতা করতে পারে। আমরা সাদরে তাদের পরামর্শ গ্রহন করতে প্রস্তুত। জাতীয় দুর্যোগে তরুনরাই সবার সামনে থাকে বলে জানান।
নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে সামাজিক সংগঠনগুলো সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে এবং তিনি আরো বলেন সমাজ জীবন আছে বলেই আমরা একজন অন্যজনের সুখে-দুঃখে পাশে থাকি। একে অপরকে সম্মানের চোখে দেখি, অর্থাৎ সমাজ মানেই পারস্পারিক স্নেহ ভালবাসা আর সৌহার্দ্য- সহযোগিতার এক সুদৃঢ় বন্ধন।
তিনি বলেন, যখন আমাদের সমাজে কোন বিপর্যয় নেমে আসে বিশেষ করে মহামারি, অগ্নিকান্ড, বন্যা জলোচ্ছ্বাসের মত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ তখন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সামাজিক সংগঠনগুলে। অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে দেখায় তাদের। অর্থাৎ আমাদের জীবন পরিচালনা করার পথে যেমন পরিবারের ভূমিকা রয়েছে, তেমনি সামাজিক সংগঠনগুলের ভূমিকাও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।
সমাজকে আধুনিক ও প্রত্যাশিত মানে নিয়ে যেতে হলে আমাদের এই সকল সংগঠনকে আরো কার্যকর করে তুলতে হবে। দল-মত, ধর্ম, বর্ণ, নারী-পুরুষের ভেদাভেদ দূর করে সমাজকে গতিশীল ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য হিসাবে তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর হতে হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মাদক, ইভটিজিং, যৌতুক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের মতো গর্হিত এবং অন্যায় কাজ থেকে আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে সামাজিক সংগঠনগুলোর জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নাই।
কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েদের শরীর-মন সুস্থ রাখতে খেলাধুলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা দরকার। বর্তমান সমাজে অনেক সময়ে দেখা যায়, সামাজিকভাবে ভালো মানের কোনো খেলাধুলা বা প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রম না থাকার কারণে অনেকেই অবসর সময়ে অসৎ সঙ্গ গ্রহণ করে থাকে। সামাজিক সংগঠনের নানামুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে এগুলো ফেরাতে পারে বলে বিপ্লব মোল্লা মত দেন।
নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত রাখতে এ সকল সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন দিবসের আলোচনা সভা ও শিক্ষনীয় গল্পের আয়োজন করা একান্ত প্রয়োজন, যাতে করে তারা মুক্তি যুদ্ধ ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। আলোচনার শেষপ্রান্তে এসে সংগঠনের সদস্য রুবেল ফকির ও জি এম ছানাউল্লাহ চেয়ারম্যানের বক্তব্যে খুশি হয়ে বলেন ধন্যবাদ প্রিয় অভিভাবক ইয়ানুর রহমান বিপ্লব ভাইকে আজ আমদের সাথে মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য এবং বাপ্তা ইউনিয়নের গণমানুষের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান বিপ্লব মোল্লা তিনি আমাদের সকল কর্মকাণ্ড অবিহিত হয়ে আমাদের কে ধন্যবাদ জানিয়ে আশ্বস্ত করেছেন তিনি আমাদের সকল মানবিক কাজে আমদের পাশে থাকবেন এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধু প্রিয় চেয়ারম্যান বিপ্লব মোল্লা কাছ থেকে বিদায় নেই।