করোনা আতংকে দ্বীপের দেড় লক্ষ বাসিন্দারা
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মনপুরায় চলছে ট্রলারযোগে যাত্রী পরিবহন
ভোলার মনপুরায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত ট্রলারযোগে যাত্রী পরিবহন চলছে। ব্যবসায়ীদের মাল টানার ট্রলারে যাত্রী পরিবহন করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে করে এই দ্বীপে যে কোন সময়ে করোনা সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন এই দ্বীপের দেড় লক্ষ বাসিন্দরা।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় হাজিরহাটের নাইবেরহাট এলাকায় দেখা যায়, একটি ট্রলারে করে শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ঘাটে নোঙ্গর করে। সাথে সাথে দ্রুত যাত্রীরা উঠছে। ছবি তুলতে গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ভোলার লালমোহনের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়।
জানা যায়, প্রতিনিয়ত হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে ট্রলারে করে যাত্রীরা আসছে মনপুরায়। এছাড়াও জনতা থেকে ট্রলার করে চরফ্যাসন, হাজিরহাট থেকে ট্রলারে করে চরফ্যাসন ও লালমোহনে মাল আনার নাম করে যাত্রী পরিবহন করছে ট্রলার মালিকরা।
স্থানীয় বাসিন্দা শহীদ, রফিক, মামুন, রাকিব, সোহেল, আমজাদ, শাহীন, হেলাল, ফারুক সহ আরো অনেকে জানান, প্রতিনিয়ত ট্রলারে করে ঢাকা, চট্রগ্রাম, চরফ্যাসন, লালমোহনে যাত্রী পরিবহ করছে ট্রলার মালিকরা। প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে ট্রলার মালিকরা যাত্রী পরিবহন করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে করে যে কোন সময়ে দ্বীপ উপজেলা মনপুরা করোনা হট স্পটে পরিণত হতে পারে বলে আশংকা ওদের।
এই ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, মনপুরার চারিদিকে নদী তাই নজরদারিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। তারপরও পুলিশের টহল চলছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, যাত্রী পরিবহনের দায়ে হাতিয়াগামী দুই ট্রলার আটক করা হয়েছে। তারপরও প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে যারা যাত্রী পরিবহন করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, মনপুরায় গত ২১ মে ঢাকা ফেরত এক যুবকের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে ২৩ মে। পরে ওই যুবককে সরকারি ডিগ্রী কলেজের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওযঅ হলে ১১ দিন পর ওই যুবক সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।