সর্বশেষঃ

ভোলায় করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন চিলেকোঠা

বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো করোনা ভাইরাসের এখনো কোনো প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। এ ভাইরাসের নেই সঠিক কোনো চিকিৎসা। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে তাই সচেতনতা সৃষ্টিতে জোর দেয়া হচ্ছে বেশি। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টি করে সংক্রমণ রুখে দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে সবখানে। এরই ধারাবাহিকতায় ভোলা জেলার বিভিন্ন জায়গায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে তরুণ এক ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির মুন্নার গড়ে তোলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চিলেকোঠা।

“বাসায় থাকুন-নিরাপদ থাকুন, প্রয়োজনে বাহিরে এলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন” এই স্লোগান নিয়ে বুধবার (১৩ মে) সকাল থেকে ভোলা সদর রোড এলাকায় সামজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সাথে কাজ করেন সংগঠনটির সেচ্ছাসেবীরা। হাত জোর করে মোটরসাইকেল আরোহী ও রিক্সার যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ জানান তারা।

এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন ইউথ নেটওয়ার্ক এর প্রতিষ্ঠাতা জান্নাতুল আরোহীসহ চিলেকোঠা সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অন্যান্য সেচ্ছাসেবীরা।

এখনও নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করছে এই সংগঠনটি। ভোলায় স্থানীয়দের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সচেতনতা গড়ে তুলছে তারা।পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন এলাকায় বহিরাগতদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাচ্ছে চিলেকোঠা। এছাড়াও কাঁচা বাজার ও জনসমাগমে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, মাস্ক-গ্লাভস ও স্যানিটাইজার ব্যবহার নিয়ে সবাইকে সচেতন করছে সংগঠনের সেচ্ছাসেবীরা।

এছাড়াও চিলেকোঠা সংগঠনের পক্ষ থেকে রিক্সা বা মোটরসাইকেলে একজনের বেশি আরোহী না নিতে সচেতনতা বাড়াতেও বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পথচারী ও সাধারাণ মানুষের মাঝে  বিতরণ করা হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক সহ অন্যান্য সুরক্ষা উপকরণ এবং বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্থাপনা ও যানবাহনে ছিটানো হচ্ছে জীবাণু নাশক ঔষধ।

এছাড়াও অনেকগুলো অসহায় পরিবারের মধ্যে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে এই সংগঠনটি। এই সময় ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েও তারা জরুরি সেবা পৌঁছে দিয়েছেন।

লুকিয়ে আসা বহিরাগতদের শনাক্ত করে জেলা প্রশাসকের সহায়তায় তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতেও ভূমিকা রাখছে সাব্বির মুন্নার সংগঠন চিলেকোঠা।

চিলেকোঠার কার্যক্রম নিয়ে সাব্বির মুন্না বলেন, “এই যুদ্ধ শুধুমাত্র সরকারের নয় আমাদের সকলের। সবাইকে একসাথে মিলে দেশকে করোনামুক্ত করতে হবে। প্রকৃত বীর সেই যে দেশের বিপদে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারে, এই যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে। জাতির এই দুঃসময়ে সরকার ও প্রশাসনের পাশাপাশি সচেতন তরুণেরা এগিয়ে এসে নিজ জেলা ও এলাকাকে সুরক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এই প্রত্যাশা চিলেকোঠা সংগঠনের।

উল্লেখ্য গত ১০ এপ্রিল থেকে করোনা মোকাবেলায় প্রশাসনের পাশাপাশি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন চিলেকোঠা।

এছাড়াও ভোলা জেলায় করোনা প্রতিরোধে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, স্কাউট, বিয়ে বাজার, ইউথ নেটওয়ার্ক, হৃদয়ে ভোলা, বিডি ক্লিনসহ বেশ কিছু সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সেচ্ছাসেবীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।