বগুড়ায় একই পরিবারের ৭ সদস্যসহ ১১ জনের করোনা শনাক্ত

বগুড়ায় নতুন করে ৪ পুলিশ ও একই পরিবারের ৭জনসহ মোট ১১ জন করোনা ‘পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকাফেরত একই পরিবারের চার নারীসহ সাতজন রয়েছেন। তারা শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার বাসিন্দা।
করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হওয়া বাকি চারজনের মধ্যে একজন টাউন সাব ইন্সপেক্টর (টিএসআই) এবং তিনজন কনস্টেবল পদমর্যাদার। চারজনই বগুড়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৫২ তে পৌঁছল। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন মঙ্গলবার রাত ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, মঙ্গলবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে বগুড়ার ১৭৬টি নমুনার মধ্যে ১১ জন করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ১২টি নমুনার সব করোনা ‘নেগেটিভ’ শনাক্ত হয়েছে।বগুড়ায় নতুন করে আক্রান্ত ১১ জনের মধ্যে ৭ জনই একই পরিবারের সদস্য। শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার বাসিন্দা এই পরিবারটি ৮ মে বগুড়ায় ফিরেছে। ঢাকাফেরত হওয়ায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একই পরিবারের সাত সদস্যের মধ্যে চারজনই নারী। এর মধ্যে দুজন নারীর বয়স ৫৭ ও ৫৯ বছর। অন্য দুজনের মধ্যে একজন ১৮ বছরের তরুণী এবং একজন ১৪ বছর বয়সী কিশোরী। অন্যদিকে পুরুষ তিন সদস্যের মধ্যে দুজন ব্যবসা করেন। তাদের বয়স ৩৫ ও ৩৯ বছর। এ ছাড়া পরিবারের ২৭ বছর বয়সী একজন সদস্যও করোনা শনাক্ত হয়েছেন। করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হওয়া বগুড়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত চারজনের মধ্যে এক কনস্টেবলের বয়স ২৭ বছর। অন্য দুজন ৫৫ থেকে ৫৬ বছর বয়সী। এ ছাড়া ৫৬ বছর বয়সী একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, জেলায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া পুলিশের সংখ্যা দাঁড়াল ৯। এর মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদর দপ্তরে কর্মরত এক উপসহকারী পরিদর্শকও রয়েছেন। নারী পুলিশ সদস্য রয়েছেন দুজন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫২ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ পাঁচ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এর বাইরে রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন সোনাতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক একজন চেয়ারম্যান।
সূত্র- ইত্তেফাক