শতাব্দীর মহানায়ক অনন্য মুজিব : পর্ব-১৯
ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন),
(গত সংখ্যার পর), ভাবতে বিস্ময় লাগে বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্রকারীরা পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দিয়েও তার ইমেজকে নষ্ট করতে পারেনি। শেখ মুজিবের কন্য হাসিনার মাঝে আমার বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে সকল করে তুলতে চাই। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে সুষ্ঠু বিচার করা হউক। তাঁর দৃঢ় মনোভাব নিয়ে দেশ শাসন করুক, আওয়ামীলীলগ এগিয়ে যাক, একলা চলার নীতি হাসিনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ তারা এদেশ স্বাধীন করেছেন এবং মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান এবং করতেও পারবেন।
অনেকে তা বিশ্বাস করেন। হয়ত সময় নেবে, কিন্তু আওয়ামীলীগই বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র আশার আলো। গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগতিশীল আন্দোলন বঙ্গবন্ধু যেমনি নির্ভীক নিঃস্বার্থ নেতৃত্বে দিয়েছেন। মানুষ হাসিনার মাঝেও একই অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দেখতে চায়। অবিষ্যত বলে দেবে শেখ হাসিনা পিতার অপূর্ন সুখী সমৃদ্ধ , গ্রগতিশীল সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না ? শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধি, বন্দর লো নায়ক, গোল্ডামায়ার, মার্গারেট থেচারে মত একজন নেত্রী কি বাংলাদেশে আসতে পারে না ?
জাতির এক মহাক্রান্তি লগ্নে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় জীবনের একান্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা ও রক্তের বিনিময়ে একাত্তরে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল তার সুফল আজও তো সাধারণ মানুষের জীবনে আসতে পারেনি। ষড়যন্ত্রকারীদের কারসাজিতে। দ্বিধাহীন বাক্যে একথা সকলেই স্বীকার করে। একানব্বইতেও মানুষ প্রধানমন্ত্রীর মাঝে নিজেদের প্রতিচ্ছবি দেখতে চেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
এবার হয়ত শেখ হাসিনার মাঝেও নিজেদের প্রতিচ্ছবি দেখতে চাইবে। সম্ভবতঃ তাতে দেশ ও দশের মঙ্গল। শেখ হাসিনা এ পর্যন্ত চমৎকার সংগ্রাম করছে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে অন্যরা, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে শেখ হাসিনা ধীর, স্থীর, অবিচল। ভোটেই এবার আওয়ামীলীগ জয় হবে। অনেকের সাথে একমত হলে দোষ নেই। আওয়ামীলীগ এবার নিরস্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে।
দেশের সুবিধামহল চায় অনেককে নিয়ে আন্দোলন করলেও সরকার আওয়ামীলীগ একাই গঠন করুক। শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যমতের কথা ঐক্যমতে ভিত্তিতে চিরতরে সমাধান চায়। হওয়ার দরকার। স্মরণ রাখা দরকার ক্ষমতায় যাওয়া আওয়ামীলীগের জন্য যত কঠিন, ক্ষমতায় টিকে থাকা হবে তার চেয়েও কঠিন। কেন না মোনায়েমের প্রশাসন নিয়ে বঙ্গবন্ধু পর্যন্ত থমকে গেছেন। কেননা গত বিশ বছর জিয়া, এরশাদ, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রশাসন নিয়ে আওয়ামী সরকার মুখ থুবড়ে পড়তে চাইবে।
আওয়ামীলীগ জিতবে, কারণ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব সময়োচিত কথাবার্তা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনের ফলে আওয়ামীলীগ তার দুই প্রতিপক্ষকে অনেকাংশে নমনীয় করতে সক্ষম হয়েছে। শত্রুতার বদলে অর্জিত হয়েছে পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা, সেটা বিরাট সফলতা আসন্ন নির্বাচনে এরা একে অন্যের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি করতে পারে না বরং এদের কর্মীগণ পরস্পরের প্রতি অনেকটা নমনীয়।
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সকল ষড়যন্ত্র জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামীলীগ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে। অতীতে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে, এবারও সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার নৌকা এগিয়ে যাবে। জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া টিকতে পারবে না, পারেনি। এবারও যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে ঐক্যবব্ধ প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে এই ষড়যন্ত্র টিকবে না। হাসিনা বিজয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে বঙ্গবন্ধুর গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা প্রগতিশীল আন্দোলন চালিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মত তেমনি নির্ভীক নিঃস্বার্থ নেতৃত্ব দিতে পারবেন।