সর্বশেষঃ

জনগণের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আলীনগরের চেয়ারম্যান বশির আহম্মদ

বাংলাদেশের বিখ্যাত দ্বীপজেলা ভোলা। ভোলা জেলার তেরটি ইউনিয়নের মধ্যে আলীনগর ইউনিয়নটি কোন এক সময় ছিল বেশ বড় এবং সুনামের। তবে সুনামটি আজও অব্যহত থাকলেও ইউনিয়টি কেটে অনেকটা ছোট করে ফেলা হলেও আজও জনপ্রিয়তার শীর্ষে তার অবস্থান। আর এই জনপ্রিয়তা দিনÑদিন বেড়েই চলেছে যার জন্য এই জনপ্রিয়তা তিনি আর কেউ নয়, যিনি বর্তমান ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও আলীনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলীনগরবাসীর অত্যন্ত কাছের বিপদ আপদের বন্ধু, টানা দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান জনগণের একান্ত কাছের আপনজন, এই এলাকারই সন্তান বশির আহম্মদ।
তবে দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, এই ইউনিয়নটির পূর্ব থেকেই যতেষ্ট সুনাম থাকলেও এটি ছিল ভোলার অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে অনেকটা অনুন্নত এবং বিচ্ছির্ণ একটি ইউনিয়ন। যা বি.এন.পি জামাত জোট সরকারের চেয়ারম্যানদের আমলে এই ইউনিয়নে উন্নয়নের তেমন কোন ছোঁয়া লাগেনি বললে চলে। তারা তাদের আখের গোছানো আর লুট পাট নিয়ে ব্যাস্ত ছিল দীর্ঘ নয়টি বছর। এই ইউনিয়নের দুই একটি রাস্তা ছাড়া প্রায় প্রতিটি রাস্তাই ছিল কাঁচা এবং চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী। এরপর এই এলাকার মানুষ যখন দূরদশা আর ভোগান্তির মধ্যে জীবন যাপন করছে, ঠিক তখনই আল্লাহ তালা তার দূত হিসেবে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান করে পাঠায়, এই এলাকারই কৃর্তি সন্তান গরীব দুঃখী ও মেহনতি মানুষের বন্ধু শতকরা (৯০)% মানুষের নয়ণের মনি, জননেতা তোফায়েল আহমেদের একান্ত আস্থা ভাজন মোঃ বশির আহম্মদকে। তিনি চেয়ারম্যান হয়ে ঝির্ণশির্ণ এলাকাটিকে বাংলাদেশের বর্ষিয়ান ও প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা ৬৯ গণঅভূত্থানের মহা নায়ক, ডাকসুর ভিপি, শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাদি দেওয়ার কিংবদন্তি নেতা সাবেক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সফল বাণিজ্য মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদর একান্ত সহযোগীতায় কি দিনে কি রাতে নিরলস কাজ করে জরাজীর্ণ এলাকাটিকে খুব দ্রুত বেশ আধুনিকায়ন করেন। যেখানে রাস্তা দরকার ছিল, সেখানে রাস্তা নির্মাণ করে, আবার যেখানে কালবার্ট দরকার সেখানে কালবার্ট নির্মাণ করে, যেখানে টিউবয়েল দরকার সেখানে টিউবয়েল দিয়ে এই বশির আহম্মেদ তার দায়িত্ব এতটাই সততা ও সুনামের সাথে পালন করেছেন বলে তার পুরস্কার স্বরুপ তিনি ভোলা জেলার ১৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের ভেতর থেকে একমাত্র তিনিই শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান উপাধিতে ভূষিত হন এবং স্বপরিবারে সাত দিনের জন্য লন্ডন যান। তাই তার কাজে বেশ খুশি হয়ে আমাদের ভোলাবাসীর প্রাণের নেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ আবারও দ্বিতীয় বার তাকে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন।
এলাকাটিকে যতেষ্ঠ উন্নত করেছেন বলে যার ফলশ্রুতিতে এই ইউনিয়নটি ভোলা জেলার মডেল ইউনিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। যে আলীনগর এক সময় কাঁচা রাস্তা অভাব ছিলনা, এখন সেই আলীনগরে আর কাঁচা রাস্তা দেখাই যায় না। এজন্য বশির আহম্মেদের সুনাম আগের চেয়ে হাজার গুন বেড়েছে, যা ইতোমধ্যে ভোলার আনাচেÑ কানাচেও পরতে শুরু করেছে। বর্তমানে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে করোনা ভাইরাসের মহামারিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চেয়ারম্যান, মেম্বার,উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদের, নামে যেভাবে দূর্নীতি ও চাল চুরির অভিযোগ শোনা যায়, সেই জায়গায় তিনি সরকারের সকল ত্রাণ তার নিজ হাতে সকল মেম্বারদের মাঝে সঠিক ভাবে বন্টণ করে দিয়ে দলমত নির্বিশেষে সকল গরীব, এতিম, অসহায়, দুস্তদের মাঝে সঠিক ভাবে বন্টণ করে দেওয়ার জন্য মেম্বারদেরকে আহব্বান জানান। আবার মেম্বাররা তা সঠিক ভাবে বিতরণ করল কিনা গোপনে তারও খোঁজ খবর নেন তিনি। এছাড়া জননেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের দেওয়া প্রথম ধাপে ২০০,দ্বিতীয় ধাপে ২০০, আবার তৃতীয় ধাপে দেওয়া ৪৫০ প্যাকেট ত্রান দুস্তদের মাঝে বিতরণ করেন। শুধু তাই নয়,এই মহামারীতে তিনি নিজের ব্যক্তিগত দরফ থেকে প্রথম ধাপে ১ টন ছোলা, ৭৫০ কেজি খেজুর,৭৫০ কেজি মুড়ি, দ্বিতীয় ধাপে ৩ টন আলু, ১ টন মশারির ডাল,ও ৭৫০ কেজি চাল গরীব, এতিম অসহায়,ও দুস্তদের মাঝে বিতরণ করেন।
শুধু তাই করে তিনি চুপ থাকেন নি, তিনি এখনো রাতের আধাঁরে নেতার নির্দেশে আলীনগরের প্রতিটি ওয়ার্ডের দুস্ত, অসহায়দের মাঝে ৬ কেজি চাল, আধা কেজি খেজুর ১ কেজি মুড়ি ও ১ কেজি ছেলা বিতরণ করে চলেছেন। যা পেয়ে এতিমরা খুশি হয়ে তাকে প্রাণ ভরে দোয়া করছে। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে কি দিনে, কি রাতে সব সময় এই ইউনিয়নের তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের সুখে, দুঃখে, বিপদে আপদে ছায়ায় মত পাশে থেকে এখনো পযন্ত সততা ও বেশ সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। যে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য, আবার যে বিধবা ভাতা পাওয়ার যোগ্য,এবং যে সরকারি রিলিপ পাওয়ার যোগ্য অর্থাৎ সরকারি যত সুযোগ সুবিধা আছে তা তিনি মুখ দেখে না দিয়ে সকলকে সমানে দিয়ে যাচ্ছেন, এবং প্রতিটি বিচার আচার ও তিনি বেশ সততা ও সুনামের সাথে ন্যায় ভাবে করেণ বলে তার বেশ সুনাম ও পরিচিতি এই পুরো ইউনিয়ন তথা ভোলার আনাচে কানাচে ইতোমধে ছড়িয়ে পরেছে।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, দেশের এই ক্রাতিলগ্নে যারা এতিম ও অসহায়দের মাল চুরি করে খাবে সয়ং আল্লাহপাক অতি শিগ্রহী তাদের উপর গজব নাজিল করবে অবশ্যই। আল্লাহ আমাকে জীবনে যেন এই হারাম না খাওয়ায়। এতিমদের এই হারাম খাওয়ার জন্য আল্লাহ আমাকে চেয়ারম্যান বানায় নি। এটা কোন সভ্য মানুষের আচরণ হতে পারে না। ওরা পশু জানোয়ারের চেয়েও খারাপ। আল্লাহ আমাকে সামর্থ দিয়েছে দোয়া করবেন আমি যেন মরণ পযর্ন্ত দিন-রাত আমার এই ইউনিয়নের জনগণের পাশে থেকে এভাবেই তাদের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে পারি। জনগণ হল আমার প্রাণ, ওনারা আমাকে চেয়েছে বলে আল্লাহ আমাকে এই চেয়ারম্যান ইউনিয়নের বানিয়েছে। তাই ওনাদের সুখ আমার সুখ, ওনাদের দুঃখতো আমার দুঃখ। যতক্ষণ এই দেহে প্রাণ আছে আমি এভাবেই আমার এই ইউনিয়নবাসীর খেদমত করে যেতে চাই।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।